সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ভুয়ো’ তথা ‘বিভ্রান্তিকর’ খবর, বাক স্বাধীনতা তথা শিল্পের স্বাধীনতার দ্বন্দ্ব রামায়ণ-মহাভারতের মতো প্রাচীন। কে বলে দেবে কোনটা ‘বিভ্রান্তিকর’ আর কোনটা রাষ্ট্রের ‘ভুল’ ধরানো প্রতিবাদী কণ্ঠ, কোনটিই বা শিল্পের স্বার্থের অনুগামী! সমাধানহীন এই সংশয়ের মধ্যেই বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মোদি সরকার। সংশোধিত তথ্যপ্রযুক্তি নিয়মের আওতায় সমাজমাধ্যমের বিষয়বস্তু নিরীক্ষণের জন্য একটি ফ্যাক্ট চেকিং ইউনিট (FCU) তৈরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। যদিও এফসিইউ তৈরিতে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court), এই বিষয়ে বম্বে কোর্টের নির্দেশ খারিজ হল।
প্রথম থেকেই এফসিআই নিয়ে আপত্তি করেছে সোশাল মিডিয়ায় কনটেন্ট তৈরি করা ভ্লগাররা। বম্বে হাই কোর্টে এই বিষয়ে মামলা করেন কৌতুকাভিনেতা কুণাল কামরা। তিনি এফসিইউ স্থাপনে স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। যদিও সেই আবেদন খারিজ করেছিল হাই কোর্ট। বিচারপতি এ এস চান্দুরকারের একক বেঞ্চ জানিয়েছিল, তথ্যপ্রযুক্তি নিয়মের আওতায় একটি ফ্যাক্ট চেকিং ইউনিট স্থাপনের অনুমতি দিলে কোনও গুরুতর এবং অপূরণীয় ক্ষতি হবে না। দেশের বৃহত্তর স্বার্থের কথাও মনে করিয়ে দেন বিচারপতি। যদিও উ্চ্চ আদালতের রায় খারিজ করল শীর্ষ আদালত।
[আরও পড়ুন: ‘মোদিতে হচ্ছে না, ঠাকরে চুরি করছে…’ রাজ-শাহ বৈঠকের পরই বিজেপিকে খোঁচা উদ্ধবের]
উল্লেখ্য, ২০২১-এর পর ২০২৩-এ সংশোধিত হয় কেন্দ্রের তথ্য প্রযুক্তি নিয়ম। যেখানে বলা হয়েছে, সরকার সম্পর্কিত জাল, মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর অনলাইন বিষয়বস্তুকে চিহ্নিত করতে পারবে এফসিইউ৷ এর পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জরুরি পদক্ষেপ নিতে বলতে পারবে। যদিও কুণাল কামরার মতো কৈতুকভিনেতা এবং বিরোধী দলগুলি বারবার প্রশ্ন তুলেছে, শাসক দলের বিরোধিত কীভাবে দেশ বিরোধিতা হয়! এফসিইউ-র অপব্যবহার নিয়ে চিন্তিত তারা। বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বি পর্দিওয়ালা, বিচারপতি মনোজ মিশ্রা এবং প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানাল, এই বিষয়টির সঙ্গে নাগরিকের বাক স্বাধীনতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কিত। যদিও মামলার গুরুত্বের বিষয়ে মন্তব্য করতে চায়নি আদালত। এইসঙ্গে এফসিইউ নিয়ে কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।