সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া নিয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে কেন্দ্র ও গুজরাট সরকার। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, কোন আইন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে, সেটা আরও ভাল করে বিবেচনা করা উচিত। আইন আছে বলেই ধর্ষকদের ছেড়ে দেওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের উচিত ছিল নিজেদের বুদ্ধি খাটানো।
শীর্ষ আদালতের বিচারপতি কেএম জোসেফ এবং বিচারপতি বিভি নাগরত্নের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, বিলকিসের ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার আগে তাদের অপরাধের গুরুত্ব দেখে নেওয়া উচিত ছিল গুজরাট হাই কোর্টের। ডিভিশন বেঞ্চ বলছে, “একজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে ধর্ষণ করা হল, এতগুলো মানুষ মারা গেল। এই ধরনের মামলাকে ৩০২ ধারার আর পাঁচটা মামলার সঙ্গে তুলনা করা যায় না। আপেলের সঙ্গে যেমন কমলালেবুর তুলনা করা যায় না, তেমনি খুনের সঙ্গে গণহত্যার তুলনা করা যায় না।”
[আরও পড়ুন: ৩০ বিরোধী বিধায়ক-সহ বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন অজিত পওয়ার? মুখ খুললেন NCP নেতা]
শীর্ষ আদালত সাফ বলছে, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজ্য সরকার নিজেদের বিবেচনাশক্তি আদৌ কাজে লাগিয়েছিল কিনা সেটাই প্রশ্ন। আর কীসের ভিত্তিতেই বা রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিল? সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য,”আজ এটা বিলকিস বানোর সঙ্গে হয়েছে। কাল আমার বা আপনার সঙ্গে হতে পারে। আপনারা যদি ঠিকঠাক কারণ না জানান, তাহলে আমাদের নিজেদের মতো করে ভেবে নিতে হবে।”
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দিল্লিতে বিক্ষোভ বিধায়কদের! মণিপুরে মহাসংকটে বিজেপি]
বিলকিসের ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র ইতিমধ্যেই দেখতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। গুজরাট সরকারকে সব নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২ মে মামলার পরবর্তী শুনানি, সেখানেই সব নথি জমা করার কথা সরকারের। তবে শোনা যাচ্ছে, তার আগেই শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চলেছে গুজরাট সরকার এবং কেন্দ্র।