সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “দেশের উপরাষ্ট্রপতির বাসভবন কোথায় হবে, তা কি জনতা ঠিক করে দেবে? এবার কি বাসভবন নিয়ে জনে-জনে মতামত জানতে চাইবে আদালত?” সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্ট (Central Vista Project) বিরোধী মামলাকারীকে এভাবেই তোপ দাগলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এএম খানউইলকার। মঙ্গলবার সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্ট বিরোধী আবেদনও খারিজ করে দেন বিচারপতি।
দিল্লিতে তৈরি হচ্ছে নতুন সংসদ ভবন ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা’। তৈরি হবে দেশের উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনও। আর এই নয়া নির্মাণকাজের জন্য দিল্লির পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে বলে অভিযোগ উঠেছিল আগেই। অভিযোগকারীদের দাবি, জমির চরিত্র বদলে দেওয়ায় নষ্ট হবে সবুজও। তাই নির্মাণকাজ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। শীর্ষ আদালতে জমা পড়েছে একাধিক আবেদনও। মঙ্গলবার এরকমই এক আবেদনের শুনানি চলাকালীন মামলাকারীদের কার্যত ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি।
[আরও পড়ুন: গো-শিরা বুকে বসিয়ে খুদেকে পুনর্জন্ম দিল NRS হাসপাতাল, খরচ মাত্র দু’টাকা!]
শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) বিচারপতি এএম খানউইলকারের কথায়, “সমস্ত কিছুরই সমালোচনা করা যেতেই পারে। কিন্তু সেই সমালোচনা অবশ্যই গঠনমূলক হওয়া দরকার।” শুনানি চলাকালীন আদালতে কেন্দ্রের তরফে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা জানিয়েছেন, “এই নির্মাণের (সেন্ট্রাল ভিস্তা) চারপাশে সবুজের সমারোহ থাকছে। গাছপালার সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।” এর পরই মামলকারীদের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, “এটা কোনও ব্যক্তিগত সম্পত্তি তৈরি হচ্ছে না। উপরাষ্ট্রপতির বাসভবন তৈরি হচ্ছে। সেখানে সবুজ (গাছপালা) থাকবেই। নির্মাণকার্যের নীলনক্সা ইতিমধ্যেই ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে। এবার কি তবে জনে-জনে মতামত নেব আমরা?”
[আরও পড়ুন: COVID-19 Update: দেশে আরও কমল করোনার দাপট, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৭৫৭৯ জন]
প্রসঙ্গত, সমাজকর্মী রাজীব সূরি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁর দাবি, সেন্ট্রাল ভিস্তা নির্মাণের জেরে কিছু জমির চরিত্র বদল করা হচ্ছে। যে জমি আমজনতার বিনোদনের জন্য ব্যবহার হত। যেথানে সাধরণ মানুষ প্রাতঃভ্রমণ সারতেন, ঘুরতে আসতেন তাকেই ‘রেসিডেন্সিয়াল’ করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু শীর্ষ আদালত তাঁর আবেদন খারিজ করে দিল এদিন।