সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়ে স্বস্তি পেল কেন্দ্র সরকার। জম্মু কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) নির্বাচনী কেন্দ্রগুলির পুনর্বিন্যাসকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। সোমবার সেই মামলা খারিজ করে দিল দুই বিচারপতির বেঞ্চ। সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, কেন্দ্র যেভাবে নির্বাচনী কেন্দ্রের বন্টন করেছে সেই পদ্ধতিকেই বহাল রাখা হবে।
৩৭০ ধারা (Article 370) বিলোপের পর লাদাখ ও জম্মু কাশ্মীর- দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি হয়। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাস থেকেই কাশ্মীরে নির্বাচনী কেন্দ্রের পুনর্বিন্যাস শুরু করে মোদি সরকার। তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে আসন পুনর্বিন্যাসের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০২২ সালের মে মাসে কাজ শেষ করে রিপোর্ট জমা দেয় এই কমিটি। জম্মু কাশ্মীরের বিধানসভা কেন্দ্রের সংখ্যা ৮৩ থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৯০।
[আরও পড়ুন: ‘নতুন ভারতের শক্তির সাক্ষী বেঙ্গালুরুর আকাশ’, ‘অ্যারো ইন্ডিয়া’র উদ্বোধন ‘গর্বিত’ মোদির]
এই রিপোর্ট পেশের পরেই বিরোধীরা অভিযোগ করে, নিজেদের স্বার্থমতো কেন্দ্রের পুনর্বিন্যাস ঘটিয়েছে মোদি সরকার। হিন্দু ও মুসলিম জনবসতির উপর ভিত্তি করেই নতুন নির্বাচনী কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। তাছাড়াও বিরোধীদের দাবি ছিল, এই কমিটির সাংবিধানিক বৈধতা নেই। কারণ ১৯৭১ সালের জনগণনার পরে সাফ বলা হয়েছিল, ২০২৬ সাল পর্যন্ত নির্বাচনী কেন্দ্রের কোনও রদবদল করা যাবে না।
তবে কেন্দ্রের তরফে পালটা যুক্তি দিয়ে বলা হয়, কাশ্মীরে গণতন্ত্র ফেরাতেই এই রদবদল করার দরকার ছিল। সাধারণ মানুষকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে ২০২৬ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করার মানেই হয় না। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তেও এই কথাই বহাল থাকল। সোমবার পিটিশন খারিজ করে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তেই শিলমোহর দিল শীর্ষ আদালত।