সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের (Sedition Law) বৈধতা নিয়ে মামলাগুলি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে, ১৯৬২ সালেও রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করা হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। সেই সময়েও মামলার বিচার করেছিল পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। সেই সঙ্গে এই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রের আবেদনও খারিজ করেছে শীর্ষ আদালত।
লোকসভার গত অধিবেশনেই রাষ্ট্রদ্রোহ আইন নিয়ে বিল পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ১২৪(ক) ধারায় পরিবর্তন আনতে সংসদের নিম্নকক্ষে বিল পেশ করা হয়েছে। পার্লামেন্টের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে বিলটি নিয়ে আলোচনা চলছে বর্তমানে। এহেন পরিস্থিতিতে কেন্দ্র সরকার চেয়েছিল, রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের বৈধতা নিয়ে মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হোক। যেহেতু রাষ্ট্রদ্রোহ আইন ও তার পরিবর্তন নিয়ে ইতিমধ্যেই সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা চলছে, তাই কমিটির আলোচনা শেষ হওয়ার পরেই শুনানির আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: ফের অগ্নিগর্ভ মণিপুরে ঝরল রক্ত, দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত ৩]
তবে কেন্দ্রের আবেদন খারিজ করেই শুনানি চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন সদস্যের জানিয়েছে, বৃহত্তর বেঞ্চে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের বৈধতা নিয়ে মামলার বিচার করা উচিত। অন্তত পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি করা দরকার। এই প্রসঙ্গে ১৯৬২ সালের রায়ের উল্লেখ করে শীর্ষ আদালত জানায়, সেইসময় পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ রাষ্ট্রদ্রোহ আইন বজায় রাখার পক্ষে রায় দিয়েছিল। তাই এই আইনের বৈধতা নিয়ে মামলা শুনানি করতে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ গঠন করা দরকার।