সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতবর্ষ থেকে উঠে গিয়েছে যে আইন, সেই আইনকে হাতিয়ার করেই নাকি এখনও অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে বহু মানুষের বিরুদ্ধে। বিষয়টি কানে পৌঁছতেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। কীভাবে এমনটা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রকে তীব্র ভর্ৎসনাও করা হয়।
ভারতের তথ্য প্রযুক্তি আইনের (IT Rules) ৬৬-এ ধারা। যে ধারা নিয়ে একটা সময় তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। অনলাইনে ‘আপত্তিকর’ কনটেন্ট পোস্ট করা রুখতে এই আইনেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করার অধিকার ছিল পুলিশের। কিন্তু ২০১৫ সালের ২৪ মার্চ এই বিতর্কিত আইনটি তুলে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। ঐতিহাসিক রায় দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, এই আইন ‘অস্পষ্ট’, ‘অসাংবিধানিক’ এবং ‘বাক স্বাধীনতার বিরোধী’। সেই কারণেই এই আইনটির আর কোনও অস্তিত্ব থাকবে না। কিন্তু সেই রায়ের ছ’বছর পরও যেন ‘ভূতে’র মতো রয়ে গিয়েছে ৬৬-এ ধারাটি। যার উপর ভিত্তি করে হাজারেরও বেশি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আর এই বিষয়টি দেখেই স্তম্ভিত সুপ্রিম কোর্ট। এদিন বিচারপতি আর নারিম্যান, কেএম জোসেফ এবং বিআর গভইের বেঞ্চ ক্ষোভপ্রকাশ করে বলে, “আশ্চর্যজনক বিষয়। আমরা একটা নোটিস জারি করছি। যেটা চলছে, তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।” আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রকে এই নোটিসের উত্তর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
[আরও পড়ুন: ‘তুষার মেহতার বাড়িতে শুভেন্দুর CCTV ফুটেজ কোথায়?’ রাইসিনায় গিয়ে প্রশ্ন সুখেন্দুশেখরের]
৬৬-এ ধারায় যাতে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা না হয়, তার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা করেছিল এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। মামলাকারীর তরফে আইনজীবী সঞ্জয় পারিখ জানান, ৬৬-এ ধারা মেনে দিনের পর দিন অভিযোগের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আইনটি বাতিল হওয়ার সময় ২২৯টি মামলা পড়েছিল। যা বর্তমানে পৌঁছেছে ১৩০৭-এ। আর তাতে অকারণ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বহু সাধারণ মানুষকে। অস্তিত্বহীন, উঠে যাওয়া আইনকে কাজে লাগিয়ে যাতে আর কোনও থানায় অভিযোগ না জানানো যায়, সেই আরজিই জানান তিনি। গোটা বিষয়টি শোনার পর হতবাক সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে নোটিস দেয়।