সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জোর করে ধর্মান্তকরণ ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তোপে তামিলনাড়ু সরকার। বিচারপতিদের মৌখিক পর্যবেক্ষণ, ধর্মান্তকরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাজনৈতিক রং দেওয়ার চেষ্টা করেছে স্ট্যালিন সরকার। যা দেখে শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের মত, “বিষয়টা জাতীয় স্বার্থের। গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মানুষকে নিয়ে চিন্তিত। তাই রাজনৈতিক রং দেওয়ার চেষ্টা করবেন না।”
তামিললাড়ুতে জোর করে, মিথ্যা বলে কিংবা টাকার লোভ দেখিয়ে জোর করে ধর্মান্তকরণের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ। এদিনে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি মুখপাত্র তথা আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। তাঁর দায়ের করা পিটিশনের শুনানি চলছে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এম আর শাহ ও বিচারপতি সি টি রবিকুমারের ডিভিশনে বেঞ্চে। বিষয়টিকে লঘু করে দেখানোর চেষ্টার অভিযোগ ওঠে তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে। উইলসন আরও বলেন, “বিষয়টা রাজ্যের আইনসভার উপর ছেড়ে দেওয়া হোক।
[আরও পড়ুন: নজরে শিল্পে বিনিয়োগ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে জমির দাম কমানোর পথে রাজ্য]
সওয়াল জবাব চলাকালীন তামিলনাড়ুর আইনজীবী পি উইলসন বলেন, মামলাকারী অশ্বিনী উপাধ্যায় বিজেপি মুখপাত্র। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা রয়েছে। মামলাটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি আরও বলেন, “সংবিধান অনুযায়ী ধর্মান্তকরণ রাজ্যের বিষয়। তামিলনাড়ুতে কোনও জোর করে ধর্মান্তকরণের ঘটনা ঘটেনি। মামলাকারীর অভিযোগ মিথ্যা। ২০০২ সালে এই সংক্রান্ত একটা আইন প্রত্যাহার করা হয়। আমাদের রাজ্যে ধর্মান্তকরণের কোনও ঘটনা ঘটেনি। স্রেফ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই আবেদনের অংশীদার করা হয়েছে তামিলনাড়ুকে।”
এরপরই বিচারপতি শাহ বলেন, “রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা করবেন না। প্রাথমিক তদন্ত বলছে, রাজ্য সরকার রাজনৈতির রং লাগানোর চেষ্টা করছে। আমরা সাধারণ মানুষকে নিয়ে চিন্তিত।” তাঁর আরও সংযোজন, “বিক্ষোভ দেখানোর অনেক কারণ হয়েছে আপনাদের। সেটা করতে হলে বাইরে দেখান। আমরা বিষয়টা নিয়ে চিন্তিত, কোনও রাজ্যকে নয়। যদি আপনাদের রাজ্যে ধর্মান্তকরণ হয় তাহলে সেটা খারাপ, যদি না হয় তাহলে ভাল। তবে এটায় রাজনৈতিক রং দেওয়ার চেষ্টা করবেন না।” বিচারপতিরা আরও বলেন, “মামলাকারীর রাজনৈতিক পরিচয় মামলার ক্ষেত্রে কোনও প্রভাব ফেলবে না।”