shono
Advertisement

Breaking News

নয়া কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ, পর্যালোচনার জন্য কমিটি গঠন সুপ্রিম কোর্টের

কৃষকদের সমস্যা সমাধানে তাঁরা সবরকম চেষ্টা চালাবেন বলেও উল্লেখ করেন দেশের প্রধান বিচারপতি।
Posted: 01:46 PM Jan 12, 2021Updated: 02:46 PM Jan 12, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে মিলল জয়! প্রায় ২ মাস ধরে চলা কৃষকদের আন্দোলনকে স্বীকৃতি দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। নয়া কৃষি আইনের (Farm Laws) উপর স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। এই মামলার পরবর্তী রায় দেওয়ার আগে পর্যন্ত এই আইন রূপায়ণ করতে বারণ করল কেন্দ্রকে। পাশাপাশি নয়া কৃষি আইন পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটিও গঠন করেছে আদালত।

Advertisement

মঙ্গলবার নয়া আইনে স্থগিতাদেশ দিলেও আলোচনার মাধ্যমেই তারা কৃষকদের আন্দোলন (Farmers Protest) থামানোর সবরকম চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছে সু্প্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় একথাই পরিষ্কার বুঝিয়ে দিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে। উভয়পক্ষের মধ্যে জট কেন কাটছে না, তা বোঝারও চেষ্টা করল আদালত। নতুন তিনটি কৃষি আইন পর্যালোচনা করে দেখার জন্য তৈরি করা হল একটি কমিটি। পাশাপাশি কৃষকরা যাতে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ না করে, রামলীলা ময়দানে তাঁদের আন্দোলন চালানোর জন্য নয়াদিল্লির পুলিশ কমিশনারের কাছে অনুমতি চান তার পরামর্শও দেন বোবদে।

[আরও পড়ন: বার্ড ফ্লুও কি পাকিস্তানি, খালিস্তানিরা ছড়াচ্ছে? আতঙ্কের মধ্যেই শিব সেনার খোঁচা বিজেপিকে]

মঙ্গলবার সকালে মামলাকারী ও সরকারপক্ষের আইনজীবীদের সওয়াল শোনার পর প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে বলেন, ‘দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই কমিটি নিজেদের কাজের প্রয়োজনেই তৈরি করছে আদালত। এর ফলে কৃষি আইন ও এর প্রতিবাদে হওয়া আন্দোলনের বিষয়ে একটি পরিষ্কার ছবি আমাদের সামনে আসবে। এই কমিটি মামলার বিচারবিভাগীয় পদ্ধতিরই একটা অংশ। তবে আশাকরি আপনারা সবাই কমিটির কাছে যাওয়ার আগেই সমস্যা মিটিয়ে নেবেন। এই কমিটি যেমন কোনও নির্দেশ দেবে না তেমনি কাউকে শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতাও এর নেই। কৃষি আইন ও আন্দোলনের বিষয়ে শুধু আমাদের কাছে রিপোর্ট পেশ করবে। তবে এখনই আমরা এই আইন বাতিল করার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’

শুনানি চলার সময় আজ খালিস্তানি জঙ্গিদের প্রসঙ্গও উঠে আসে আদালতে। এই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জমা করা হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছিল যে নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্যরা কৃষকদের ভুল বুঝিয়ে বিপথে পরিচালিত করছে। এবিষয়ে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘আমাদের কাছে জমা পড়া আবেদন উল্লেখ করা হয়েছে একটি নিষিদ্ধ সংগঠন এই বিক্ষোভে সাহায্য করছে। অ্যাটর্নি জেনারেল কি এটা মেনে নিচ্ছেন না নিচ্ছেন না।’ এর উত্তরে দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে ভেনুগোপাল বলেন, ‘এর মাধ্যমে আমরা বলতে চেয়েছি এই প্রতিবাদ আন্দোলনে খালিস্তানের সমর্থকরা ঢুকে পড়েছে।’

[আরও পড়ন: স্বামী বিবেকানন্দের চিন্তাধারা চারিদিকে ছড়িয়ে দিন, জাতীয় যুব দিবসে আহ্বান মোদির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement