সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের টিভিতে সাক্ষাৎকার দেওয়া নিয়ে চূড়ান্ত জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের কাছে সেই সংক্রান্ত নথি চেয়ে পাঠান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশের উপর এবার স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট।
এদিন শীর্ষ আদালত কী রায় দিয়েছে, তা নিয়ে প্রথমে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। শোনা যাচ্ছিল নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সব মামলা থেকেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে পরে পরিষ্কার হয়, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত দু’টি মামলা থেকে সরানো হয়েছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে (Justice Abhijit Gangopadhyay)। আগের মতো বাকি মামলা শুনবেন তিনি। এরই মধ্যে এদিনই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের সেক্রেটারি জেনারেলকে নির্দেশ পাঠান, তাঁর যে সাক্ষাৎকারটি নিয়ে এত বিতর্ক, সেই সংক্রান্ত যে প্রতিলিপি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়েছে, তার কপিটি পাঠাতে হবে। এমনকী তার জন্য সময়ও বেঁধে দেন তিনি। জানান, তিনি মাঝরাত পর্যন্ত আদালতে থাকবেন। সেই কপিটি দেখতে চান, যার ভিত্তিতে তাঁকে মামলা থেকে সরানো হল।
[আরও পড়ুন: ‘যেদিন ডাকবে, যাব’, স্থগিতাদেশ উঠতেই সিবিআইকে ‘পূর্ণ সহযোগিতা’র বার্তা অভিষেকের]
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশের পরই শুক্রবার সন্ধেয় সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি- বিচারপতি বোপান্না ও বিচারপতি হিমা কোহলির স্পেশ্যাল বেঞ্চ এই সংক্রান্ত আলোচনায় বসে। এরপরই জানিয়ে দেওয়া হয় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যে নির্দেশ দিয়েছেন, তার উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হল। অর্থাৎ তিনি যে কপি দেখতে চেয়েছেন, সুপ্রিম নির্দেশে আপাতত তা হাতে পাবেন না। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এদিন আদালত থেকে বেরিয়ে বলে দেন, “সুপ্রিম কোর্ট যা রায় দেবে, মেনে নিতে হবে। আমার একেবারেই মন খারাপ নয়। তবে আমার মনে হয় একই কারণে বাকি মামলাগুলিও আমার হাত থেকে সরে যাবে। তবে যে সব মামলা চলছে, অভিযোগকারীদের বলব, সেসব তো চলবে। অন্য বিচারপতিরা লড়বেন। আর বিচারপতি থাকি না থাকি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করব।” সব শেষে বলে দেন, “সুপ্রিম কোর্ট যুগ যুগ জিও।”
[আরও পড়ুন: বিমানবন্দরে হারাল পোষ্য! এয়ার ইন্ডিয়ার ‘গাফিলতি’র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন যাত্রী!]
উল্লেখ্য, একটি টিভি চ্যানেলকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকার দেওয়া নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সেই সাক্ষাৎকার নিয়েই সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছিল। যার প্রেক্ষিতেই প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত দু’টি মামলা থেকে সরানো হয় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে।