সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়ে নিজেই তিরস্কৃত হলেন নূপুর শর্মা। হজরত মহম্মদ ইস্যুতে তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিভিন্ন রাজ্যের একাধিক জায়গায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। কলকাতারও দুটি থানায় অভিযোগ জমা পড়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে নিজের প্রাণহানির আশঙ্কার কথা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন নূপুর শর্মা (Nupur Sharma)। সেই মামলায় নেত্রীকেই ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল। শীর্ষ আদালতের স্পষ্ট পর্যবেক্ষণ, নূপুর শর্মার দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের জন্য দেশের এমন পরিস্থিতি। তিনি অনেক দেরিতে ক্ষমা চেয়েছেন। তাঁর উচিত, প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া। এরপর নেত্রীর আরজি শুনতেও অস্বীকার করেন বিচারপতিরা।
পয়গম্বরকে নিয়ে নূপুর শর্মার মন্তব্যের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ। নানা প্রান্তে বিক্ষোভ, অবরোধ চলে। তবে নিজের মন্তব্যের স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে অনড়ই ছিলেন সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রী। তাঁর বিরোধিতায় বিভিন্ন রাজ্যের থানাগুলিতে এফআইআর দায়ের হয়। কলকাতার নারকেলডাঙা থানা তাঁকে তলব করেছিল। যদিও সুরক্ষার দোহাই দিয়ে তিনি হাজিরা এড়ান। সময় চেয়ে নেন। সুপ্রিম কোর্টে তাঁর আবেদন ছিল, সব মামলা এক জায়গায় স্থানান্তর করা হোক। তিনি তদন্তে সহযোগিতা করবেন। প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন বলেও জানান। তবে শীর্ষ আদালতেও ধাক্কা খেলেন নূপুর শর্মা।
শুক্রবার এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা পর্যবেক্ষণে সাফ জানান, তাঁর মন্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন। তিনি যখন ক্ষমা চেয়েছেন, তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত। বিচারপতিদের এও বলতে শোনা যায়, ”যখন কারও বিরুদ্ধে এফআইআর হয়, তাঁদের গ্রেপ্তারির আওতায় আনা হয়। কিন্তু আপনাকে তো কেউ ছুঁতেই পারছে না।”