সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমলিঙ্গের বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি সংক্রান্ত মামলায় গত বছর সংসদের কোর্টেই বল ঠেলেছিল দেশের শীর্ষ আদালত। আরও একবার সেই মামলার পুনর্বিচার করতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ১০ জুলাই হতে চলেছে এই মামলার শুনানি। গত বছর এই সংক্রান্ত মামলার দায়ে ২ বিচারপতি বিয়ের স্বীকৃতির পক্ষে মত দিলেও বিপক্ষে ছিলেন ৩ জন।
সমলিঙ্গের বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হোক। দাবিতে গত বছরের রায়ের পালটা শীর্ষ আদালতে রিভিউ পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। সেই আবেদনের বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। আগামী ১০ জুলাই এই মামলার শুনানিতে আগের রায় খতিয়ে দেখবে নয়া সাংবিধানিক বেঞ্চ। তবে সেই বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি থাকবেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
[আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতার সালিশি সভায় না যাওয়ার ‘অপরাধ’! বৃদ্ধ দম্পতি ও ছেলেকে ‘মার’]
উল্লেখ্য, বিশ্বের অন্তত ৩১টি দেশ সমলিঙ্গের বিয়েকে স্বীকৃতি দিলেও এই অধিকার থেকে বঞ্চিত ভারতের সমলিঙ্গের দম্পতিরা। এর ফলে নানান আইনি জটিলতার মধ্যে পড়তে হয় তাঁদের। দু’জন নারী বা পুরুষ স্বামী-স্ত্রী’র মতো বাস করলেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে বা বিমা করাতে একে অপরকে নমিনি হিসাবে উল্লেখ করার সুযোগ পান না। কারণ তাঁদের বিয়ে সরকারিভাবে স্বীকৃত নয়। একই কারণে তাঁরা শিশু দত্তক নিয়ে অপারগ। কারণ এই ধরনের স্বীকৃতিহীন দম্পতির হাতে শিশুকে দত্তক দেওয়া হয় না। এহেন বিয়েতে আইনি অধিকার পেতে গত বছর শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ৪ দম্পতি। যদিও সেই মামলায় আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় দু’জন পুরুষ বা দু’জন মহিলার বিয়েকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি আদালতের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। আগামী ১০ জুলাই সেই মামলাই পুনর্বিবেচনার করতে চলেছে আদালত।
উল্লেখ্য, এর আগে ভারতে সমলিঙ্গের মধ্যে যৌন সম্পর্ক অপরাধ হিসেবে গণ্য হত। তবে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ২০১৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট সেই আইনকে অসাংবিধানিক বলে বাতিল করে। আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়, সমলিঙ্গের প্রাপ্ত বয়স্ক দু’জন স্বেচ্ছায় যৌন সম্পর্কে জড়ালে তা কখনই অপরাধ হিসেবে গণ্য করা যায় না।