সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের মরশুম শেষে সোমবারই খুলছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আর সেই দিনই অর্থাৎ অক্টোবর মাসের শেষ দিন শীর্ষ আদালতে হতে চলেছে CAA সংক্রান্ত ২৩২টি মামলার শুনানি।
আগেই প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত (UU Lalit), ৮ নভেম্বরই যাঁর কার্যকাল শেষ হতে চলেছে, তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, সিএএ সংক্রান্ত সমস্ত পিটিশনের শুনানি হবে তিন সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চে।
[আরও পড়ুন: ‘গন্ডগোলের ছক করতে পারে অনেকে, পা দেবেন না’, ছটপুজোয় গিয়ে সতর্কবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর]
ঠিক কী এই সিএএ? ১৯৫৫ সালে দেশে নাগরিকত্ব আইন করা হয়েছিল বেআইনি অনুপ্রবেশ ঠেকাতে। ৬৪ বছর পর সেই আইন সংশোধন করে বেআইনি অনুপ্রবেশকারীর সংজ্ঞাটি বদলানো হয়। ১৯৫৫ সালের আইনে ২ নম্বর ধারায় বেআইনি অনুপ্রবেশকারীর সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। ২০১৯ সালের সংশোধনীতে ২ নম্বর ধারাটি সংশোধন করে ২(১)বি যুক্ত করা হয়। সেই ধারায় বলা হয় বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি ও খ্রিস্টানরা বেআইনি অনুপ্রবেশকারীর দলে পড়বে না। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ওই সব দেশ থেকে আসা ৬টি ধর্মীয় গোষ্ঠীর লোক ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
শুরু থেকেই সিএএ নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। কেন্দ্রীয় সরকার এই সংশোধনীটি আনার সঙ্গে সঙ্গে দেশজুড়ে আগুন জ্বলে। শুরু থেকেই বিরোধিতায় নামে সব বিরোধী দল। উঠেছে আইনটি প্রত্যাহারের দাবি। যদিও কেন্দ্রের বক্তব্য, এই আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, বরং নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। তাতেও অবশ্য বিরোধীদের নিরস্ত করা যায়নি। কেন্দ্র সিএএ কার্যকর করতে গেলেই যে বিরোধীরা ফের এর বিরুদ্ধে মাঠে নেমে পড়বে, তাও সবার জানা। এবার এই আইনের বিরুদ্ধে জমা পড়া সব ক’টি মামলার শুনানি হতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টে।