সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নোট বাতিল (Demonetisation) শুধু মোদির (PM Modi) সিদ্ধান্ত? নাকি রিজার্ভ ব্যাংকের (RBI) সঙ্গে আলোচনার পরে ছয় বছর আগের ঘোষণা। সংসদীয় প্রক্রিয়া কী ছিল? নোট বাতিলের ফলে কী কী লাভ হয়েছে দেশের? এমন হাজারও প্রশ্ন তুলে মোট ৫০টি মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। গত কয়েক মাসে ধরে যার শুনানি চলছে বিচাপতি আবদুল নাজিরের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে। এদিন জানা গেল, আগামী ২ জানুয়ারি এই মামলাগুলির রায় দেবে শীর্ষ আদালত। উল্লেখ্য, পরের দিনই অবসর নেবেন বিচারপতি নাজির।
নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে মামলাগুলির শুনানি চলছে যে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে তাঁরা হলেন বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি এএস বোপান্না, বিচারপতি ভি সুব্রহ্মণ্যম এবং বিচারপতি বিভি নাগারত্ন। গত ৭ ডিসেম্বরে এই মামলার রায় শোনানোর কথা থাকলেও তা শেষ পর্যন্ত মুলতুবি হয়। তবে এদিন নতুন করে আগামী বছরের ২ জানুয়ারি নোট বাতিল মামলার রায় ঘোষণা হবে বলে জানা গেল। উল্লেখ্য, এই কারণেই কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাংককে নোট বাতিল সংক্রান্ত যাবতীয় নথি দ্রুত আদালতে জমা দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
[আরও পড়ুন: তাওয়াং পরিস্থিতির মধ্যেই মুখোমুখি ভারত-চিন, সীমান্তে বৈঠক সারল দুই দেশের সেনা]
কিছুদিন আগে শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র জানায়, নোট বাতিল শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একার সিদ্ধান্ত নয়। রিজার্ভ ব্যাংকের (Reserve Bank) সঙ্গে সবিস্তারে আলোচনার পরই ৬ বছর আগের ওই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মোদি সরকার। মোদি সরকার শীর্ষ আদালতে জানায়, নোট বাতিল (Demonetisation) অনেক চিন্তাভাবনার ফসল। জাল নোট, সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত, কালো টাকা এবং কর ফাঁকি রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: লিভারের অসুখে প্রাণ সংশয় বাবার, কিশোরী কন্যাকে অঙ্গদানের অনুমতি হাই কোর্টের]
৬ বছর আগে ২০১৬ সালে আচমকা ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। গত সেপ্টেম্বরে এই সংক্রান্ত শুনানিতে রাজি হয় আদালত। ১২ অক্টোবরে হয় প্রাথমিক শুনানি। ওই দিন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, এই বিষয়ে জবাবদিহি করা কেন্দ্রের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। শীর্ষ আদালতের বিচারপতিদের বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে দেশের আমজনতার আদৌ লাভ হয়েছে কি না, এই বিষয়ে ৯ নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা মারফত জানাতে হবে মোদি সরকারকে।