সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রের ‘এক পদ এক পেনশন’ নীতিই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, কেন্দ্রীয় সরকারের ২০১৫ সালের ৭ নভেম্বরের এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে সাংবিধানিক দুর্বলতা নেই। বুধবার বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে, প্রাক্তন সেনাদের পেনশন ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে পুনরায় নির্ধারণ করা হবে। ৩ মাসের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ করা হবে।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীদের সংগঠন ‘ইন্ডিয়ান এক্স-সার্ভিসম্যান মুভমেন্ট’। তারা প্রাক্তন সেনাদের পেনশনের বিষয়টি পর্যালোচনার দাবি জানিয়েছিল। কেন্দ্রের বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, পাঁচ বছর অন্তর পেনশনের বিষয়টি পর্যালোচনা করা হয়ে থাকে এবং ২০১৩ সালের বেতনের ভিত্তিতে পেনশন নির্ধারণ হয়। আবেদনকারীদের আরজি ছিল, ২০১৪ সালের বেতনের উপর ভিত্তি করে পেনশন নির্ধারণ হোক। এইসঙ্গে ভগৎ সিং কোশিয়ারি কমিটির দাবিও তোলা হয়। যেখানে ‘এক পদ, এক পেনশন’-কে সমসংখ্যক বছরের চাকরি এবং একই পদে অবসর নেওয়া ফৌজিদের অভিন্ন পেনশনের দাবি করা হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: দুই ধনকুবেরের মধ্যে টক্কর তুঙ্গে! রিলায়েন্সকে ‘জালিয়াত’ তকমা দিল আমাজন]
সেনাকর্মীদের সংগঠনের বক্তব্য ছিল, ‘এক পদ, এক পেনশন’-এর ক্ষেত্রে যে লক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল তা বাস্তবায়িত হয়নি। মামলাকারীদের আবেদন খতিয়ে দেখে এদিন শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে পুনরায় নির্ধারণ করা হবে পেনশন। তবে কেন্দ্রের এক পদ নীতিতে আপাতত কোনও পরিবর্তন করা হবে না।
[আরও পড়ুন: ‘কাশ্মীর ফাইলস’ দেখে মুগ্ধ হিমন্ত, ছবি দেখতে ছুটি দিলেন অসমের সরকারি কর্মীদের]
প্রসঙ্গত, ‘এক পদ এক পেনশন’ নীতি অনুযায়ী একই পদে কাজ করা দু’ জন ব্যক্তি আলাদা আলাদা সময়ে কাজ করে অবসর নিলেও একই অংকের পেনশন পাওয়ার যোগ্য। ধরা যাক কোনও জওয়ান ২০১৪ সালে অবসর নিয়েছেন, তিনি ঠিক ততটাই পেনশন পাবেন যতটা পাবেন ২০১৬ বা ২০১৭ সালে অবসর নেওয়া একজন সেনাকর্মী। এতদিন বেতন কমিশনের টাকা বাড়া-কমার উপর নির্ভর করে পেনশনের টাকা একেক জনের জন্য একেক রকম হত। ফলে পরে অবসর নিলে বেশি মাইনে নিয়ে যাঁরা শেষ করতেন, পেনশনও তাঁদের বেশি হত।