সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষ পর্যন্ত সংবেদনশীল গর্ভপাতের মামলায় ২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা মহিলার আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দেওয়া হল না গর্ভপাতের অনুমতি। রায় ঘোষণার আগে আদালতের তরফে জানানো হল, গর্ভস্থ শিশু সম্পূর্ণ সুস্থ। তার মধ্যে কোনওরকম অস্বাভাবিকতা নেই। এই অবস্থায় “আমরা তার হৃৎস্পন্দন বন্ধ করব না।”
মামলাকারী ২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা মহিলার আগে দুই সন্তান রয়েছে। মানসিক অবসাদ-সহ একাধিক অসুস্থতা রয়েছে তাঁর। আদালতকে তিনি জানান, তাঁর পক্ষে নতুন করে সন্তানপালন সম্ভব নয়। চিকিৎসকদেরও বক্তব্য, মাতৃত্বকালীন অবসাদে ভুগছেন মহিলা। সেই সূত্রে গর্ভপাতের আবেদন জানান তিনি। মাঝে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতিদের ভিন্ন বেঞ্চ মহিলার আবেদন বিবেচনা করে অনুমতিও দিয়েছিল। গত মঙ্গলবার ওই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেয় প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ।
[আরও পড়ুন: ‘বড় ভুল হবে’, গাজা হামলার ছক নিয়ে ইজরায়েলের ‘বিরোধিতা’ বাইডেনের!]
নয়া নির্দেশের নেপথ্যে AIIMS-এর মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট। সেখানে বলা হয়েছে, গর্ভস্থ শিশুর বিকাশ স্বাভাবিক রয়েছে। তার জীবিত থাকার সম্ভাবনা প্রবল। যার পর ক্ষোভ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, “কোন আদালত ভ্রূণের হৃৎস্পন্দন থামিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেবে।” সোমবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “মহিলা ২৬ সপ্তাহ ৫ দিনের অন্তঃসত্ত্বা। এখন গর্ভপাতের অনুমতি দিলে মেডিক্যাল টার্মিনেশন প্রেগন্যান্সি অ্যাক্টের ৩ ও ৫ ধারা লঙ্ঘন করা হবে। যেহেতু ভ্রুণের মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু মেলেনি এবং মা-ও সুস্থ রয়েছেন।” এর পরই প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, “আমরা হৃৎস্পন্দন বন্ধ করব না।”
উল্লেখ্য, দেশের গর্ভপাত বিষয়ক আইন অনুযায়ী, সর্বোচ্চ ২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত কোনও বিবাহিত মহিলা গর্ভপাত করাতে পারেন। তার পরে গর্ভপাত করাতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হয়। সেই কারণেই শীর্ষ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন ওই অন্তঃসত্ত্বা মহিলা। শেষ পর্যন্ত সেই দাবি খারিজ হয়ে গেল।