সোমনাথ রায়: সমলিঙ্গ বিবাহে সম্মতি (Same Gender Marriage) নয় এখনই। সরকারের উপর সিদ্ধান্ত ছাড়ল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud) মন্তব্য করলেন, “বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানটি কোনও অনড়, অটল বিষয় নয়। বিবাহে বিবর্তন আসে।” বিচারপতির আরও মন্তব্য, “জীবনসঙ্গী নির্বাচন করা প্রত্যেকের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।”
মঙ্গলবার সমলিঙ্গে বিবাহ আইন মামলায় রায় ঘোষণা করতে গিয়ে কার্যত সমলিঙ্গ সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিল শীর্ষ আদালত। বিপরীত লিঙ্গের বিবাহ আইনের প্রসঙ্গ টেনে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানটি কোনও অনড়, অটল বিষয় নয়। বিবাহে বিবর্তন আসে।” আরও বলেন, “বিবাহ বর্তমানে যে স্বীকৃতি পেয়েছে, তা সম্ভব হত না আইন না থাকলে।’’ পাশাপাশি পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, আদালত আইন তৈরি করতে পারে না। কিন্তু আইনের ব্যাখ্যা দিতে পারে। এতএব সমলিঙ্গ বিবাহকে আইন করার বিষয়ে সরকারকেই অগ্রসর হতে হবে।
[আরও পড়ুন: ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন! এবার বিজেপি সাংসদকে পালটা আইনি নোটিস মহুয়ার]
অতি সংবদেনশীল বর্তমান মামলায় সাংবিধানিক বেঞ্চে রয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কল, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভট্ট, বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি পিএস নরসিম্হা। প্রধান বিচারপতি শুনানিতে বলেন “বিশেষ বিবাহ আইনে বদল আনতে হলে সেটা সংসদ করতে পারবে।” পাশাপাশি বলা হয়, সমলিঙ্গ সম্পর্কের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য কেন্দ্র যে কমিটি গড়েছে, এ বিষয়ে সেই কমিটির অগ্রসর হওয়া উচিত।
[আরও পড়ুন: ‘দেশভাগ ঐতিহাসিক ভুল, এর জন্য কারা দায়ী তাও জানি,’ মন্তব্য ওয়েইসির]
এইসঙ্গে সমকামী সম্প্রদায়ের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়ে সওয়াল করে সুপ্রিম কোর্ট। টানা ১০ দিন শুনানির শেষে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ গত ১১ মে রায় সংরক্ষিত রেখেছিল। এদিন যা ঘোষণা করা হল। তবে সমলিঙ্গ বিবাহের পক্ষে দাঁড়ালেও আইনি সিদ্ধান্তের বিষয়ে কেন্দ্রকেই দায়িত্ব দিল আদালত। কেন্দ্র অবশ্য প্রথম থেকেই সমলিঙ্গে বিয়ের আইনি বৈধতার দাবির বিরোধিতা করেছে। তাদের বক্তব্য, এটা শহুরে অভিজাতদের ভাবনা। আরও বলা হয় বিয়ের আইনি বৈধতা পেলে বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানকে আঘাত করা হবে। এখন দেখার সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান রায়ের কী সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র।