সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ দেশে সারোগেট মায়েদের অধিকার সুনিশ্চিত করতে ও সারোগেসির মাধ্যমে জন্ম নেওয়া শিশুকে বৈধ পরিচয় দেওয়ার উদ্দেশ্যে বুধবার সারোগেসি বিলের খসড়া আনল কেন্দ্র৷

কী এই সারোগেসি? সোজা কথায়, দম্পতিরা যখন সন্তানের জন্ম দিতে ব্যর্থ, তখন সাহায্য নেন তৃতীয় কোনও মহিলার। সন্তান জন্ম দিতে দরকার সুস্থ ডিম্বাণু, শুক্রাণু এবং জরায়ু। জরায়ু না থাকলে বা ত্রুটিযুক্ত হলে অন্যের গর্ভে সন্তানকে বড় করে তোলা যায়। এটাই সারোগেসি। আইভিএফ-সারোগেসিতে সন্তানের জন্ম দিয়ে বন্ধ্যত্ব ঘোচানোর সর্বশেষ ও মোক্ষম আধুনিক দাওয়াই।
সূত্রের খবর, সারোগেসি নিয়ন্ত্রণ বিলে অনুমোদন দিয়েছে বিশেষ মন্ত্রিসভা বা গ্রুপ অফ মিনিস্টারস-এর। বিলটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে মন্ত্রিসভায়৷ আগামী অধিবেশনে লোকসভায় পেশ হবে এই বিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দফতর কর্তৃক গঠিত ওই বিশেষ মন্ত্রিসভায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা ছাড়াও রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণমন্ত্রী হারসিমরত কউর বাদল৷
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সুপারিশ অনুযায়ী সারোগেসি বিল, ২০১৬-র খসড়ায় বলা হয়েছে, অবিবাহিত হলে সারোগেসির সাহায্য নেওয়া যাবে না। বাণিজ্যিকভাবে সারোগেসি করা যাবে না। একমাত্র নিকটাত্মীয়দের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া চালানো যাবে। ইচ্ছুক দম্পতি যে সন্তান ধারণে সমর্থ নয়, মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দিয়ে সেকথা জানাতে হবে। নিয়ম ভাঙলে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা। হতে পারে ১০ বছরের কারাদণ্ডও।
বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ আজ বাণিজ্যিক সারোগেসির অপব্যবহারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন৷ বিশেষত নামী অভিনেতা-অভিনেত্রী ও সেলেব্রিটিদের একহাত নিয়েছেন সুষমা৷ তিনি বলেছেন, “দু’জন সন্তান থাকলেও সেলেব্রিটিরা এখন সারোগেসির সাহায্য নিচ্ছেন৷ স্ত্রী প্রসব বেদনা সহ্য করতে পারবেন না বলে আপনি সারোগেসির সাহায্য নেবেন, এটা হতে পারে না!”