সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তীব্র বিরোধিতার মধ্যে লোকসভায় পেশ হল ওয়াকফ সংশোধনী বিল। বিতর্কিত বিল পেশ করলেন বিজেপি সরকারের সংখ্যালঘু মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। সংসদে আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে সেই ম্যারাথন আলোচনা। এদিকে ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে লোকসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কংগ্রেস সাংসদরা। বিল পেশের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।
কংগ্রেস, তৃণমূল, আরজেডি, সমাজবাদী পার্টি, এনসিপি, বাম দলগুলি ছাড়াও বিরোধী শিবিরের প্রায় সব দল সম্মিলিতভাবে এই বিলের বিরোধিতা করছে। আজ সংসদে ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে আলোচনা চলবে ৮ ঘণ্টা। বিরোধী শিবিরে ওয়াকফ নিয়ে ঐক্যের ছবি দেখা গেলেও কিছুটা হলেও বিক্ষিপ্ত শাসক শিবির। এনডিএর শরিকরা বিল নিয়ে খানিক দোনামোনায়। চন্দ্রবাবু নায়ডুর টিডিপি বিলটির পক্ষে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও সংশয়ে বিজেপির বিহারের দুই জোটসঙ্গী জেডিইউ এবং লোকজনশক্তি পার্টি। এখনও যা পরিস্থিতি তাতে এই দুই দল বিলটির পক্ষে ভোট নাও দিতে পারে। উল্লেখ্য, রাজ্যসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল পেশ হতে পারে বৃহস্পতিবার।
এর আগে গত ৮ আগস্ট লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল পেশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। বিলটি অসাংবিধানিক এবং মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপকারী বলে একযোগে আপত্তি জানান বিরোধীরা। কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিরোধীদের অভিযোগ করেন, ৪৪টি সংশোধনী এনে ওয়াকফ বোর্ডের উপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। এরপর ঐকমত্যের লক্ষ্যে বিলটি জেপিসির কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র।
বুধবার মন্ত্রী কিরেন রিজিজু দাবি করলেন, ওয়াকফ বোর্ডে স্বচ্ছতা আনতেই এই বিল। স্বাধীনতার পর ওয়াকফ বিল অসাংবিধানিক মনে না হলে, এখন কেন মনে হচ্ছে, সেই নিয়ে বিরোধীদের বেঁধেন রিজিজু। নিজের ভাষণে তিনি বলেন, "আমরা আজ বিল সংশোধন না করলে যে সংসদে আমরা বসে আছি, তাও ওয়াকফ বোর্ড নিজেদের সম্পত্তি বলে দাবি করা হচ্ছিল।" আরও দাবি করেন, "সরকার কোনও ধর্মীয় সংগঠন বা তাদের কাজকর্মে হস্তক্ষেপ করছে না। কোনও মসজিদের সম্পত্তিতে হস্তক্ষেপ করছি না আমরা। ওয়াকফ বোর্ডের সঙ্গে ধর্মের কোনও যোগ নেই, সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয় এটি।" তিনি আরও বলেন, "মুসলমানদের ভালোর জন্য ওয়াকফ সংশোধনী বিল।"