shono
Advertisement

Delhi Fire: ‘অসুস্থতাই আমার প্রাণ বাঁচাল, কিন্তু বোনের ননদ এখনও নিখোঁজ,’দিল্লি অগ্নিকাণ্ডে দিশেহারা পুনম

এই প্রাণহানির দায় কে নেবে? উঠছে প্রশ্ন।
Posted: 01:06 PM May 14, 2022Updated: 03:24 PM May 14, 2022

নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। শরীর খারাপের জন্য শুক্রবার আর কাজে যেতে পারেননি। কোম্পানির থেকে ছুটি চেয়ে নিয়েছিলেন দিল্লির অগরনগরের বাসিন্দা পুনম। সৌভাগ্যবশত সেই অসুস্থতাই প্রাণে বাঁচিয়ে দিল তাঁকে। কারণ পশ্চিম দিল্লির মুন্ডকা মেট্রো স্টেশনের কাছে অগ্নিগ্রাসে ভস্মীভূত হওয়া চারতলা বিল্ডিংয়ে কাজে যেতেন পুনম। কিন্তু সেখানে কাজ করতে গিয়ে এখনও বাড়ি ফেরেননি তাঁর বোনের ননদ যশোদা দেবী। একরাশ আতঙ্ক আর চোখের কোণে জল নিয়ে এখন পরিবারের সেই সদস্যকেই খুঁজে বেড়াচ্ছেন পুনম।

Advertisement

শুক্রবার এই বাণিজ্যিক বিল্ডিংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে (Delhi Fire) প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৭ জন। গুরুতর আহত ১২ জন। দমকল ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে শনিবার সকালে জানানো হয়, এখনও অনেকেই নিখোঁজ। চলছে তল্লাশি। কিন্তু কী অবস্থায় উদ্ধার করা যাবে তাঁদের? তাঁরা কি আদৌও জীবিত আছেন? নাকি আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করেছে তাঁদেরও। এটাই লাখ টাকার সওয়াল। কারণ NDRF-এর আধিকারিক ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন যে দ্বিতলে একাধিক দেহাংশ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে।

[আরও পড়ুন: সম্পর্কে বিচ্ছেদ, বদলা নিতে ‘প্রাক্তন প্রেমিকা’র বাড়ির সামনে বোমাবাজি যুবকের]

ভাগ্যক্রমে রক্ষা পেয়েছেন পুনম। অসুস্থতার কারণে শুক্রবার বাড়িতেই ছিলেন তিনি। বিকেলের দিকে তাঁর কাছে একটা ফোন আছে। ফোনের ওপার থেকে তাঁর বোনের স্বামী জানতে চান, পুনম কাজে গিয়েছেন কি না। সাফাইকর্মী পুনম জানান, তিনি ছুটি নিয়েছেন। তখনই জানতে পারেন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। বোনের স্বামী জানান, তাঁর বোন সেখানে কাজে গিয়েছিলেন। এই খবরেই আতঙ্ক গ্রাস করে পুনমকে। তিনি বলছেন, “আমি তিনতলায় সাফাইয়ের কাজ করতাম। আর বোনের ননদ দোতলায় পেন্টিংয়ের কাজ করত। আমি অসুস্থ ছিলাম বলে যাইনি। কিন্তু বোনের ননদ, যশোদা দেবী গিয়েছিল।” এরপরই তিনি যোগ করেন, “সাধারণত এই বিল্ডিংয়ে একসঙ্গে সকলকে কাজে ডাকা হয় না। একজন গেলে অন্যজন আসে। কিন্তু গতকাল কেন সবাইকে একসঙ্গে ডাকা হল, সেটাই বুঝতে পারছি না।”

তবে পুনম একা নন, ঘটনাস্থলে এসে চোখের সামনে ভয়ংকর এই দৃশ্য দেখে শরীর অবসন্ন হয়ে আসছে বহু পরিবারের। যাঁরা দিশেহারা হয়ে খুঁজে চলেছেন বাড়ির সদস্যদের। যাঁরা এই বিল্ডিংয়ে কাজে এসে এখনও বাড়ি ফেরেননি। সরকার আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছে ঠিকই। কিন্তু তার কাছে যে প্রাণের মূল্য নেহাতই গৌণ। যে বিল্ডিংয়ে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থাই ছিল না, সেখানে এত মানুষ কীভাবে দিনের পর দিন কাজ করছিলেন? এই প্রাণহানির দায় কে নেবে? ধোঁয়ায় কালিমালিপ্ত বিল্ডিংয়ের আঁনাচে-কানাচে সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।

[আরও পড়ুন: বন্ধ ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’, চাকরি ছাড়লেন এই সংস্থার ৮০০ কর্মী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement