টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: জঙ্গি (Terrorist) সন্দেহে ফের রাজ্যে ধরপাকড়। এখনও পর্যন্ত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত মহম্মদ রিয়াজকে জেরা করছে পুলিশ। তার সঙ্গে আর কে কে জড়িত ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ধৃত মহম্মদ রিয়াজ বাঁকুড়ার (Bankura) বড়জোড়ার আইটি হাবের কেয়ারটেকার হিসাবে কাজ করত। জানা গিয়েছে সে কেরলের এন্নাকুলামের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, একটি ডিভাইসের মাধ্যমে জঙ্গিগোষ্ঠীর হয়ে প্রচার করত সে। গোপন সূত্রে সে খবর পায় পুলিশ। তারই ভিত্তিতে পুলিশ মহম্মদ রিয়াজের উপর নজরদারি চালাচ্ছিল।
[আরও পড়ুন: দাবি মতো টাকা না মেলায় আড়াই ঘণ্টা ‘অত্যাচার’ বৃহন্নলার, প্রাণ গেল সদ্যোজাতের]
এরপর বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতকে জেরা করে আরও তিনজনের নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা। তবে তারা বর্তমানে ফেরার। ধৃত মহম্মদ রিয়াজকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হয়। ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করার ভাবনা তদন্তকারীদের। কী কারণে রিয়াজ কেরল থেকে বাংলায় এসেছিল, আদতে নাশকতার ছক কষছিল কিনা, তা ধৃতকে জেরা করেই জানা যাবে বলেই মনে করছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, এর আগে দীপাবলির মরশুমে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুভাষগ্রাম থেকে এক জেএমবি জঙ্গি আবদুল মান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত জেএমবি জঙ্গি বাংলাদেশের বাসিন্দা। তার কাছ থেকে জাল পরিচয়পত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়। গত এপ্রিলের শেষ থেকেই দফায় দফায় মালদহ, মুর্শিদাবাদের সীমান্ত পেরিয়ে এই রাজ্যে আসে অন্তত ১৫ জন জেএমবি (JMB) জঙ্গি। তাদের মধ্যে কয়েকজন যায় ওড়িশায়। কয়েকজন জম্মু ও কাশ্মীরে। মে মাসের প্রথমে সীমান্ত পেরিয়ে প্রথমে কলকাতায় আসে মেকাইল খান। যদিও সে নিজেকে শেখ সাব্বির বলে পরিচয় দিয়েই হরিদেবপুরে বাড়ি ভাড়া নেয়। জুনের শেষের দিকে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসে হুজি তথা জেএমবি নেতা আল আমিনের ভায়রা ভাই নাজিউর রহমান পাভেল। তাদের জেরা করেই আবদুল মান্নান নামে ওই জেএমবি জঙ্গির খোঁজ পান তদন্তকারীরা।