রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: শুভেন্দু অধিকারীর সাসপেনশন প্রত্যাহার। তবু চলতি বিধানসভা অধিবেশনে যোগ দেবেন না বিরোধী দলনেতা। কারণ তাঁর সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হলেও সতীর্থ তিন বিধায়কের সাসপেনশন তোলা হয়নি। এর প্রতিবাদেই আর চলতি অধিবেশনে যোগ দেবেন না শুভেন্দু। শুধু তাই নয়, বিধানসভার কর্মীদের আয়োজিত ইফতার পার্টিতেও যোগ দেবেন না বিরোধী দলনেতা।

ফেব্রুয়ারির ১৭ তারিখ বিধানসভায় অধ্যক্ষের দিকে কাগজ ছোড়ার প্রতিবাদে শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পাল, বিশ্বনাথ কারক এবং বঙ্কিম ঘোষকে চলতি অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়। অধিবেশন শেষ হওয়ার দু'দিন আগে বিরোধী দলনেতার সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হয়। তবে তারপরেও তিনি অধিবেশনে যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছেন। কারণ, তাঁর সাসপেনশন প্রত্যাহার হলেও বাকিদের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হয়নি। এর প্রতিবাদেই এই সিদ্ধান্ত।
এদিকে ২০ মার্চ বিধানসভায় ইফতার পার্টি। মূল উদ্যোক্তা বিধানসভার কর্মীরা। প্রতিবার ইফতার পার্টি হলেও এবার আয়োজন আরও একটু বড়। মঙ্গলবার বিধানসভার কর্মীদের একাংশ শুভেন্দু অধিকারীর কাছে আসেন ইফতার পার্টিতে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানানোর জন্য। প্রথমেই তাঁদের শুভেচ্ছা জানান বিরোধী দলনেতা। কিন্তু তারপরই কার্ড হাতে নিয়ে শুভেন্ধুবাবু বলেন,"আমি ২০০৬ সাল থেকে বিধায়ক। এর আগে কখনও তো আমাকে ইফতার পার্টিতে বলেননি। এবারে প্রথম যে কার্ড ছাপিয়েছিলেন সেখানে আমার নামও ছিল না। পরে অধ্যক্ষের বুদ্ধিতে আমার নাম ঢুকিয়েছেন। তবু আপনারা এসেছেন আপনাদের শুভেচ্ছা।" কিন্তু ইফতারে যোগ দেবেন না শুভেন্দু। এ বিষয়ে তিনি বলেন, "সারাদিন উপোস থেকে তারপর ইফতার পার্টিতে যোগ দিতে হয়। কারণ যারা ইফতার করেন তারা রোজা করেন। আমি তো উপোস করি না তাই ইফতারে যাই না।"