সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় রেলে ফের দুর্ঘটনা ঘটানোর ছক। এবারও সেই কানপুর। রেললাইনের উপর সন্দেহজনক সিলিন্ডার পড়ে থাকতে দেখে জরুরি ব্রেক কষে ট্রেন থামালেন চালক। এই ঘটনায় নতুন করে শোরগোল শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রেলের যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে।
জানা গিয়েছে, মুম্বই থেকে লখনউয়ের উদ্দেশে যাচ্ছিল পুষ্পক এক্সপ্রেস। বিকেল ৪টে ১৫ নাগাদ উত্তরপ্রদেশের কানপুরে গোবিন্দপুরী স্টেশনের কাছে সন্দেহজনক একটি লাল রঙের সিলিন্ডার পড়ে থাকতে দেখেন চালক। বিপদ বুঝে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেন চালক। সঙ্গে সঙ্গে জরুরি ব্রেক কষেন। এই অবস্থান সিলিন্ডার থেকে মাত্র কিছু দূরে থেমে যায় ট্রেন। খবর দেওয়া হয় নিকটবর্তী স্টেশন ও রেল পুলিশকে। পুলিশ এসে উদ্ধার করে সন্দেহজনক সিলিন্ডারটি। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, এটি অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার। ঘটনার পর সিলিন্ডারটি পরীক্ষার জন্য ওই ট্রেনেই সেটিকে তুলে এনে কানপুর সেন্ট্রালের কাছে জমা করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
রেললাইনে উদ্ধার হওয়া সেই সন্দেহজনক সিলিন্ডার।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের নানা প্রান্তে একের পর এক রেল দুর্ঘটনায় চিন্তায় রেল কর্তারা। প্রকাশ্যে এসেছে নাশকতার তত্ত্বও। কখনও রেললাইনে কংক্রিটের স্ল্যাব, তো কখনও লাইনের ফিসপ্লেট খুলে রাখা। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের নানা জায়গায় ট্রেন জেহাদের ষড়যন্ত্র প্রকাশ্যে এসেছে। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশে সেনা জওয়ানদের ট্রেনে বিস্ফোরণ ঘটানোর ষড়যন্ত্র সামনে আসে। চলতি মাসে এই কানপুরেই বড়সড় রেল দুর্ঘটনার ষড়যন্ত্র প্রকাশ্যে আসে। এর আগে রেললাইনে গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার, পেট্রোলের বোতল, বারুদের খোঁজ পাওয়া যায়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত কোনও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। বার বার এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে ভারতীয় রেলের নিরাপত্তা।
একের পর এক ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব প্রকাশ্যে আসার পর তদন্তে নেমে গতকাল ১৬ বছরের এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত শনিবার বান্দা-মাহোবা রেললাইনে সিমেন্টের পিলার ফেলে রেখেছিল সে। জরুরি ব্রেক কষে ট্রেন থামানোর জেরে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ট্রেন।