সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্দে ভারতের (Vande Bharat Express) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান। আর তাকে কেন্দ্র করে চলছে জোর রাজনৈতিক তরজা। তাঁকে এড়াতেই বঙ্গের প্রথম সেমি হাইস্পিড ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল মঞ্চে ওঠেননি মমতা, দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী। তার পালটা জবাব দিল তৃণমূল।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাবি, বিজেপি সাংসদ, বিধায়ক এবং কর্মীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অযথাই মনে করেছেন তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে। মমতা আসলে শুভেন্দুর সঙ্গে একই মঞ্চে বসতে চাননি বলেই মনে করছেন তিনি। একই সুর সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের গলাতেও। তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে নয়, স্রেফ আবেগের বশে বিজেপি কর্মীরা ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: শোকের দিনে পাশে থাকার বার্তা, বিজেপি কর্মীদের ‘অসৌজন্যে’র পরও মোদিকে ‘সৌজন্য’ মমতার]
বিজেপি নেতানেত্রীদের পালটা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) শুভেন্দুকে ‘অসভ্য বানরসেনা’ বলে কটাক্ষ করেন। তাঁর কথায়, “কোনও ট্রেনের যাত্রা শুরু হলে দুগ্গা দুগ্গা বলা উচিত ছিল। অযথা রামনাম করবেন কেন? স্থান-কাল-পাত্রের জ্ঞান না থাকায় বিজেপি এই কাজ করেছে।”
উল্লেখ্য, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধনের আগে যদিও হাওড়া স্টেশনে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। হাওড়ায় অতিথিদের জন্য তৈরি মঞ্চে বসে থাকা বিজেপি সাংসদ, বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে জোর গলায় ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তুলতে থাকেন। তা মুখ্যমন্ত্রীর কানে পৌঁছনো মাত্র তাঁর শরীরী ভাষা বদলাতে থাকে। বোঝাই যায়, অত্যন্ত বিরক্ত, ক্ষুব্ধ হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিশৃঙ্খলার সঙ্গে সঙ্গেই তা সামলানোর চেষ্টা করেন বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। হাতজোড় করে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন রেলমন্ত্রী। যদিও শেষমেশ মঞ্চে ওঠেনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশে দর্শকাসন থেকেই বক্তব্য রাখেন। অংশ নেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও। স্লোগানকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।