রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: গতকালই নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়ার কথা ঘোষণা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। পাশাপাশি ভবানীপুর থেকেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর। কিন্তু দুটি আসন থেকে মমতাকে লড়তে দেবেন না বলেই হুঙ্কার ছাড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। নজিরবিহীনভাবে আক্রমণ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Abhishek Banerjee)।
মুখ্যমন্ত্রীর নন্দীগ্রামের সভার দিন স্থির হওয়ার পরই শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেছিলেন, ১৯ তারিখ পালটা সভা করবে বিজেপি। সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সব মন্তব্যের জবাব দেবেন তিনি। পূর্বসূচি অনুয়ায়ী মঙ্গলবার খেজুরিতে সভা করেন শুভেন্দু। সেখানে ছিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বাবুল সুপ্রিয়-সহ অন্যান্যরা। সেই সভা থেকেই চাঁচাছোলা ভাষায় মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু। বলেন, “মমতা রাজনৈতিকভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। গত পাঁচ বছরে নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়েনি। মাননীয়া আপনি আর যাই করুন না কেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর লেটার হেড ছাপিয়ে রাখবেন, কাজে লাগবে।” এরপরই হুঙ্কার ছেড়ে বিজেপি নেতা শুভেন্দু বলেন, “জেনে রাখুন মাননীয়া, কোনওভাবেই আপনাকে দুটো আসনে লড়তে দেব না। হয় নন্দীগ্রামে লড়ুন নাহলে ভবানীপুরে।” খেজুরির সভার আগে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে শুভেন্দু বলেন, “খেজুরিতে কর্মীরা মার খেয়েছে, পুলিশ তখন ব্যস্ত ছিল মাননীয়াকে পুরুলিয়ায় পৌঁছতে।” এদিন ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘তোলাবাজ’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: পুরুলিয়ার সভা চলাকালীন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রশিক্ষকদের বিক্ষোভ, মেজাজ হারালেন মুখ্যমন্ত্রী]
এদিনের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘বেইমান’ বলে কটাক্ষ করেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে বলেন, “উনি জানেন ভবানীপুরে দাঁড়িয়ে কোনও লাভ হবে না। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ, নন্দীগ্রামের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিনে গিয়েছে।” রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প ভাওতাবাজি বলে দাবি করেন তিনি। এদিনের সভা থেকে আত্মবিশ্বাসী কন্ঠে বাবুল সুপ্রিয় বলেন, “একুশে বাংলায় পদ্ম ফুটবেই।”