সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নন্দীগ্রামে (Nandigram)শহিদ দিবস ঘিরে ফের উত্তাপ চড়ল রাজ্য রাজনীতির। মঙ্গলবার সকালে নন্দীগ্রামে শহিদ তর্পণ অনুষ্ঠানে গিয়ে নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতার হুঁশিয়ারি, ”সিপিএমকে সাফ করেছি। চব্বিশের নন্দীগ্রাম দিবসের আগে পিসি-ভাইপোকে গ্যারেজ করে দেব।” তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে স্বভাবতই তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর। নন্দীগ্রাম যাওয়ার পথেই তার জবাব দিয়ে গেলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। পালটা তাঁর জবাব, ”যাঁরা এসব বলছেন, তাঁরা নিজেরা কবে গ্যারেজড হয়ে যাবেন, জানেন না। আর শহিদ দিবসে ‘গ্যারেজ’ করে দেওয়ার কথা যাঁরা বলতে পারে, তাঁরা শহিদদের প্রতি কতটা শ্রদ্ধাশীল, তা বোঝাই যাচ্ছে।”
মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, নন্দীগ্রাম দিবসে সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচি ঘিরে আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছিল। সোমবার কলকাতা হাই কোর্ট অবশ্য সেই সভার অনুমতি দেয় একাধিক শর্তসাপেক্ষে। আদালতের তরফে জানানো হয়, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে সকাল ১০টার মধ্যে সভা করতে হবে শুভেন্দুকে। সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে জায়গা খালি করে দিতে হবে। শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে হবে। যাতে জনজীবন ব্যাহত না হয়, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে মিছিলকারীদের। এরপর বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টের মধ্যে তৃণমূল মিছিল করতে পারবে।
[আরও পড়ুন: পরমাণু বোমা ফাটাতে চলেছে উত্তর কোরিয়া!]
সেই নির্দেশ মেনেই সকালেই সোনাচূড়া, গোকুলনগরের শহিদ তর্পণের কর্মসূচি শুরু করে বিজেপি। নির্দিষ্ট সময়ে সভায় পৌঁছে শহিদ বেদিতে মাল্যদান করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই সেখান থেকে রীতিমত তপ্ত বাক্যবাণ ছুঁড়ে দেন। বাম আমলে জমিরক্ষায় নন্দীগ্রামের সাধারণ নাগরিকদের বলিদান নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধী দলনেতার হুঁঁশিয়ারি, ”সিপিএমকে সাফ করেছি। এবার চব্বিশের নন্দীগ্রাম শহিদ দিবসের আগে পিসি-ভাইপোকে গ্যারেজ করে দেব। আগামী শহিদ দিবসের আগে ভাইপো ভিতরে থাকবে।”
[আরও পড়ুন: ‘যোগ্য দল হিসেবেই ফাইনালে ভারত, নিউজিল্যান্ডের কাছে ঋণী থাকার দরকার নেই’, বলছেন গাভাসকর]
আদালতের নির্দেশে সাড়ে ১০টার পর নন্দীগ্রামের সভা করার অনুমতি মিলেছে তৃণমূলের। সেখানকার অনুষ্ঠানে থাকবেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। রাস্তায় যেতে যেতেই শুভেন্দুর বক্তব্য শুনেছেন তিনি। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ”এই কথা থেকেই বোঝা যাচ্ছে, শহিদদের প্রতি তাঁদের কতটা শ্রদ্ধা আছে। আজকের দিনে এ ধরনের কথা যত কম বলা যায়, ততই ভাল। যাঁরা এসব বলছেন, তাঁরা নিজেরা কবে গ্যারেজড হয়ে যাবেন, জানেন না।”