সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আদালত বলেছিল তদন্তে সহযোগিতা করতে। কিন্তু বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) পূর্ব মেদিনীপুর ও কলকাতা পুলিশকে কোনও সহযোগিতাই করছেন না। বরং বলা ভাল, তদন্ত এড়িয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
সূত্রের খবর, একাধিক অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। হাই কোর্ট (Calcutta High Court) গ্রেপ্তারির ক্ষেত্রে আপাতত রক্ষাকবচ দিলেও তদন্তে সহযোগিতা করতে বলেছিল। অথচ পরের পর মামলায় শুভেন্দুকে জেরার নোটিস দিলেও নিজের সুবিধামতো কোনও সময় দিচ্ছেন না বিরোধী দলনেতা। স্থানীয় সূত্রে খবর, তিনি ২৯ জুন বিকেল তিনটে পর্যন্ত কাঁথির বাড়িতে ছিলেন। তারপর কলকাতা যান। রাত আটটার পর কলকাতা থেকে কাঁথির দিকে রওনা হন। ৩০ জুন দুপুর দু’টো পর্যন্ত বাড়িতে ছিলেন। ১ জুলাইও দু’টো পর্যন্ত বাড়িতে। ২ এবং ২ জুলাই হায়দরাবাদ।
[আরও পড়ুন: ভাঙন এবং শক্তিক্ষয় রুখতে তৎপর কংগ্রেস, রাজ্যে রাজ্যে সংগঠনে রদবদল করছেন সোনিয়ারা]
৩ তারিখ সন্ধেয় ফিরেই কাঁথি। ৪ জুলাই বেলা বারোটা পর্যন্ত বাড়িতেই। ৫ জুলাইও বারোটা পর্যন্ত বাড়িতে। তারপর কলকাতা। বিধানসভার সামনে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর চিনার পার্কের বাড়িতে যান। ৬ জুলাই সাড়ে দশটায় বাড়ি থেকে বেরোন। কলকাতাতেই একাধিক জায়গায় ছিলেন। রাতে কাঁথি ফেরেন। ৭ জুলাই সকাল দশটায় বেরোন। সারাদিন পূর্ব মেদিনীপুরেই ছিলেন। ৮ জুলাই বিকেল সাড়ে তিনটে পর্যন্ত কাঁথির বাড়িতে ছিলেন। তারপর দীর্ঘক্ষণ পূর্ব মেদিনীপুরে থেকে রাতে কলকাতার চিনার পার্কের বাড়িতে যান। ৯ জুলাই শুভেন্দু বেলা দশটার সময় বাড়ি থেকে বেরন। রাতে কাঁথির বাড়ি। ১০ তারিখ সকাল দশটায় বেরন। রাতে কাঁথির বাড়ি ফেরেন। ১১ তারিখ বেলা এগারোটায় বাড়ি থেকে বেরন। রাতে চিনার পার্ক ফ্ল্যাটে ফেরেন।
[আরও পড়ুন: ৪ মাসের জেল, ২ হাজার টাকা জরিমানা! বিজয় মালিয়াকে সাজা শোনাল সুপ্রিম কোর্ট]
অর্থাৎ শুভেন্দু পরিকল্পিতভাবেই পূর্ব মেদিনীপুর ও কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) তদন্ত এড়িয়ে যাচ্ছেন। প্রশ্ন উঠেছে এভাবে কি আদালতের রক্ষাকবচের অপব্যবহার করা যায়? এতদিনে তিনি তদন্তকারীদের সময় দিতে পারলেন না? বিষয়টি নিয়ে জল্পনা বাড়ছে।