শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: গরু ও কয়লা পাচারে অন্যতম মূল অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রের (Vinay Misra) সঙ্গে আসলে কার যোগাযোগ? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) নাকি শুভেন্দু অধিকারী? শুক্রবার কলকাতার ইডি (ED) দপ্তরে ৭ ঘণ্টা জেরার পর বেরিয়ে সরাসরি এই প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক নিজেই। চ্যালেঞ্জের সুরে বলেছিলেন, ফেরার বিনয় মিশ্রর সঙ্গে ৮ মাস আগে শুভেন্দু অধিকারীর কথা হয়েছে, সেই অডিও রেকর্ড তাঁর কাছে আছে। মিথ্যে হলে শুভেন্দু সরাসরি আইনি লড়াই লড়তে পারেন। এবার তারই জবাব দিলেন শুভেন্দু। ঘাটালের সভা থেকে বিরোধী দলনেতার পালটা চ্যালেঞ্জ, সেই অডিও প্রকাশ করুক অভিষেক, তিনিও মোকাবিলায় প্রস্তুত।
ভরা সভায় একটি কাগজ দেখিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাবি, “বিনয় মিশ্রকে তৃণমূল যুবার ভাইস প্রেসিডেন্ট করেছিলেন ভাইপো। আর সেই বিনয় মিশ্রই থাইল্যান্ডের রুজিরা নরুলাকে চেকে টাকা পাঠিয়েছিলেন – এই তার প্রমাণ। এই রুজিরা নরুলা কে? বিনয় মিশ্রের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে বলে ভাইপো যা প্রচার করে চলেছে, তার নাকি একটি অডিও রয়েছে। আমি বলছি, সেই অডিও প্রকাশ করুক ভাইপো। আমিও প্রস্তুত আছি।”
[আরও পড়ুন: বাদ নয় জহর! তৃণমূলের রাজ্যসভার নতুন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে রয়েছেন সাংসদ]
তাঁর ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে অভিযোগ তুলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “পিসি-ভাইপোর জ্বালায় ফোনে কথা বলা মুশকিল। তাই আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে (WhatsApp)কথা বলতে হয়। সব থানাকে ফোন ট্যাপ করার নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন পিসি। এমনকি পুলিশ সুপারদের পর্যন্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আমার ফোন ট্যাপ করার জন্য। আমি ভয় পাই না। আমার একটাই নম্বর। সবাই জানেন। সেই ২০০৬ সাল থেকেই একই রয়েছে। আর পিসি ভাইপোর নম্বর বিশেষ কয়েক জনকে মাত্র দিয়ে রাখা হয়েছে।” এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁর পালটা চ্যালেঞ্জ, ”এক বাপের ব্যাটা হলে শুভেন্দু অধিকারী অভিষেকের বিরুদ্ধে মামলা করুন।”
[আরও পড়ুন: ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য সুখবর, পুজোয় শিয়ালদহ থেকে নানা রুটে চলবে বাড়তি ট্রেন]
শনিবার দাসপুরের সোনাখালি হাইস্কুল মাঠে বিজেপির জনসভায় যথারীতি আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “রাজ্যে সমস্ত দুর্নীতির মধ্যমণি হলেন পিসি-ভাইপো। পার্থ ও অনুব্রত হলেন চুনোপুঁটি। বস্তা ভরতি করে, ট্রাঙ্ক ভরতি করে জেলা থেকে টাকা এনে ভাইপোর ঘরে জমা দিয়েছে জেলার তৃণমূল নেতারা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবই জানেন। তাঁরই অঙ্গুলি হেলনে সমস্ত দুর্নীতি হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে কয়লা পাচার, গরু পাচার সবই।”