ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ধূপগুড়ির নবনির্বাচিত বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়কে শপথবাক্য পাঠ করানো নিয়ে রাজভবন এবং বিধানসভার টানাপোড়েন চলছেই। তাতে নয়া মাত্রা যোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, ধূপগুড়ির বিধায়কের শপথবাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব রাজ্যপাল ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়েছেন। তিনি রাজি না হলে রাজ্যপাল যে কোনও বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে ধূপগুড়ির বিধায়ককে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) নিজেই শপথবাক্য পাঠ করাতে রাজি।
মঙ্গলবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন,শ “শুনেছি ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একজন রাজবংশী বিধায়ককে রাজভবনে শপথের কথা বলছেন রাজ্যপাল। এটার প্রাপ্তির স্বীকার করা উচিত ছিল। কিন্তু তা করেননি একজন অধ্যাপক।” বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, রাজ্যপাল আইন মেনেই সবটা করছেন। ডেপুটি স্পিকার রাজি না হলে যে কোনও বিধায়ককে দায়িত্ব দিতে পারেন তিনি। আমায় যদি শপথের জন্য দায়িত্ব দেন তাহলে আমি করিয়ে দেব।”
[আরও পড়ুন: মমতার কণ্ঠে ‘বাংলার মাটি’, দুবাইয়ে প্রবাসী বাঙালিদের সঙ্গে রাজ্য সংগীত গাইলেন মুখ্যমন্ত্রী]
বস্তুত ৮ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়ির বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন নির্মলচন্দ্র রায় (Nirmal Chandra Roy)। কিন্তু বিধানসভা এবং রাজভবনের টানাপোড়েনে এখনও শপথ নিতে পারেননি তিনি। মাঝে একবার জানা গিয়েছিল, রাজভবনে নির্মলচন্দ্র রায়কে শপথ নেওয়ার জন্য ডেকেছেন রাজ্যপাল। অথচ সেই চিঠি সময়মতো তাঁর কাছে পৌঁছায়নি বলে পালটা দাবি করেছেন তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী।
[আরও পড়ুন: ‘ঠিকানা বলতে পারব না মা’, রহস্যবার্তার পরদিনই জম্মুতে মৃত্যু বাংলার যুবকের]
এসবের মাঝে মঙ্গলবারই রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। তিনি এদিন বলেন,”আগে শপথ নিয়ে এমন আচরণ দেখা যেত না। আমাদেরকে পাওয়ার দেওয়া হত। আমরা সেই ভাবে শপথের দিন ঠিক করতাম। ধনখড়ের সময় থেকেই এই পদ্ধতির পরিবর্তন হল। উনি দায়িত্ব নেওয়া শুরু করলেন। এখনও তাই চলছে৷ দূর্ভাগ্যজনক ভাবে এক মাস সময় হতে চলল। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত না রাজ্যপাল অনুমতি দিচ্ছেন ততক্ষণ কিছু করার নেই।” স্পিকারের ক্ষোভপ্রকাশের পরই শোনা যায় শপথবাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব দেওয়া দেওয়া হচ্ছে ডেপুটি স্পিকারকে। শুভেন্দু অধিকারীও তেমনটাই দাবি করেন। যদিও ডেপুটি স্পিকার জানিয়েছেন, তিনি এখনও কোনও চিঠি পাননি।