সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের পর অবশেষে 'ঘরছাড়া' দলীয় কর্মীদের নিয়ে রাজভবনে শুভেন্দু অধিকারী। আক্রান্তদের পরিসংখ্যান তুলে ধরে রাজ্যপালের কাছে সাহায্য প্রার্থনা রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। ভোট পরবর্তী হিংসায় 'আক্রান্ত'দের সঙ্গে বাংলায় কথা রাজ্যপালের। 'শেষ দেখে ছাড়ব', হুঁশিয়ারি সি ভি আনন্দ বোসের।
রবিবার বিকেলে কমপক্ষে ১১৫ জন দলীয় কর্মীকে নিয়ে রাজভবনে যান শুভেন্দু। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী হেঁটে রাজভবনে ঢোকেন তাঁরা। পুলিশের কাছে তাঁদের নামও জানানোই ছিল। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতে রাজ্যে কতজন আক্রান্ত, কতগুলিই বা সেফ হোম তৈরি করা হয়েছে, সে সমস্ত খতিয়ান তুলে ধরেন। বলেন, "রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কমপক্ষে ১ হাজার ২৫টি অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। তাঁদের মধ্যে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত ৩৪০, দোকান লুট হয়েছে ২৩৩টি, বাড়ি ভাঙচুর ৩১০টি, হুমকি পেয়েছেন ৭৫০ জন। এছাড়া রেশন কার্ড ছিনতাই-সহ একাধিক অভিযোগ এসেছে। সেফ হোমে ৩ হাজার ২০০ জন রয়েছেন। ডায়মন্ড হারবার, বারুইপুর, বাসন্তী, বসিরহাট, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও কোচবিহারে সেফ হোম তৈরি করা হয়েছে। অন্তত ১০হাজার মানুষ গৃহহীন।" আক্রান্তদের পরিসংখ্যান তুলে ধরে রাজ্যপালের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন শুভেন্দু। দুর্গাপুজো পর্যন্ত রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনেরও দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
[আরও পড়ুন: ‘বিয়ে পাগলা বুড়ো’! পাকিস্তানে ১২ বছরের মেয়েকে বিয়ে করতে গিয়ে গ্রেপ্তার ৭২-এর বৃদ্ধ]
এর পর আক্রান্তদের উদ্দেশে কার্যত স্পষ্ট বাংলায় কথা বলেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, "কলকাতা হাই কোর্ট শুনে আশ্চর্য যে রাজ্যপালও গৃহবন্দি। কারণ, যাঁদের উপর হিংসা হয়েছে তাঁরা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। কিন্তু আদালত বলেছে সকলকে দেখা করতে দিতে হবে। আমি আপনাদের স্বাগত জানাই। আমরা বাংলাকে হিংসামুক্ত করব। শেষ পর্যন্ত লড়াই করব। বাংলার সকলে আমার সাথে আছে। আক্রান্তরা রাজভবনে দেখা করবে। রাজভবনের সব পুলিশকে বদলি করতে হবে। সকলেই যেন বুঝতে পারে বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ। যদি না বদলাও তবে পুর্নঃমুষিক ভব!" এর পর রাজভবনের সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শুভেন্দু। রাজ্যপাল সবরকমভাবে 'আক্রান্ত'দের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে বলেই জানান তিনি।