সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দেহরক্ষীর মৃত্যু মামলায় হাই কোর্টে প্রশ্নের মুখে রাজ্য। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর প্রশ্ন, এতদিন পর এফআইআর কেন? বুধবার হাই কোর্টে মামলাটি উঠেছিল। সওয়ালের সময় নুসরত জাহানের ইডি হাজিরা নিয়েও বিরোধী দলনেতাকে খোঁচা দেন সরকারি আইনজীবী কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এজলাসে ছিল মামলার শুনানি। তাঁর কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। বিচারপতির প্রশ্ন, এতদিন বাদে কেন এফআইআর করা হচ্ছে? ময়নাতদন্তের রিপোর্টের উল্লেখ করেও রাজ্যের উদ্দেশ্যে তীক্ষ্ণ প্রশ্নবাণ ছুঁড়ে দেন তিনি। বিরোধী দলনেতার দেহরক্ষীর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আত্মহত্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে খুনের কোনও প্রমাণ মেলেনি বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি।
[আরও পড়ুন: ‘জওয়ান’-এর নতুন প্রোমোর রগরগে সংলাপের নেপথ্যে ঋতাভরী, বড় সার্টিফিকেট ‘বাপ’ শাহরুখের]
এদিনকে আদালতে রাজ্যের তরফে সওয়াল করেছেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে বিঁধেছেন শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari)। ফ্ল্য়াট দুর্নীতি মামলায় ইডির দপ্তরে হাজিরা দিয়েছেন সাংসদ নুসরত জাহান। সেই উদাহরণ টেনে আইনজীবীর প্রশ্ন, অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? যদিও এদিন মামলার নিষ্পত্তি হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবরে নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তারক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরের দিন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। স্বামীর মৃত্যুর ২ বছর ৮ মাস পর মৃত্যুর তদন্ত চেয়ে কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শুভব্রতর স্ত্রী সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী। দায়ের হওয়া অভিযোগে শুভেন্দু অধিকারী-সহ বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। সেই মামলায় বেশ কয়েকজনের বয়ান ইতিমধ্য়েই রেকর্ড করেছে সিআইডি। এবার শুভেন্দুর সঙ্গেও কথা বলতে চান তদন্তকারীরা। তবে এখনও হাজিরা দেননি বিরোধী দলনেতা।