সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানাপোড়েনের ইতি। অবশেষে গৃহীত হল শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ইস্তফাপত্র। বিধানসভার স্পিকারের নির্দেশ অনুযায়ী সোমবার বিধানসভায় এসেছিলেন তিনি। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয় তাঁর। ইস্তফা প্রসঙ্গে শুভেন্দুর জবাবে সন্তুষ্ট তিনি। তাই তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হয়েছে বলেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, গত ২৭ নভেম্বর মন্ত্রিত্ব ছাড়েন শুভেন্দু অধিকারী। তার আগেই ছেড়ে দিয়েছিলেন HRBC’র চেয়ারম্যান পদ, হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ এবং সমবায় ব্যাংকের দায়িত্ব। তবে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা তখনও দেননি। মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার সপ্তাহদুয়েক পর বিধায়ক পদে ইস্তফাপত্র জমা দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সেদিন দুপুরে কাঁথির বাড়ি থেকে নিজের গাড়িতে চড়ে কিছুটা গোপনীয়তা বজায় রেখে কলকাতা আসেন তিনি। সেই সময় বিধানসভায় অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন না। তাই বিধানসভার সচিবের ঘরে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দেন তিনি। পরে অবশ্য স্পিকারকে (West Bengal Assemby Speaker) ই-মেলের মাধ্যমে ইস্তফাপত্র পাঠান। তবে নিয়মানুযায়ী বিধানসভার সচিব ইস্তফাপত্র গ্রহণ করতে পারেন না। কারণ তা তাঁর এক্তিয়ারভুক্ত নয়। তাই শুভেন্দুর ইস্তফাপত্র গ্রহণ হয়নি।
[আরও পড়ুন: ‘দলীয় নেতৃত্ব ডেকেছিল, তাই এসেছিলাম’, পার্থ-রাজীব বৈঠকের পরও ধোঁয়াশা অব্যাহত]
গত শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিধানসভার স্পিকার সাফ জানিয়ে দেন শুভেন্দু অধিকারীর জমা দেওয়া ইস্তফাপত্রে কিছু গণ্ডগোল রয়েছে। যেমন বিধানসভার সচিবের কাছে জমা দেওয়া ইস্তফাপত্রে (Resignation Letter) ছিল না কোনও তারিখের উল্লেখ। তবে স্পিকারকে পাঠানো ই-মেলে তারিখের উল্লেখ ছিল। এছাড়া তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে স্পিকারের মুখোমুখি হয়ে ইস্তফাপত্র জমা দেননি। তাই স্বেচ্ছায় জমা দিয়েছিলেন কিনা, তা নিয়েও জটিলতা ছিলই। সে কারণে ওইদিন পর্যন্ত ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়নি বলেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন বিধানসভার স্পিকার। সোমবার দুপুর ২টোর সময় শুভেন্দু অধিকারীকে ডেকেও পাঠিয়েছিলেন তিনি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন দুপুরে বিধানসভায় আসেন বিজেপিতে যোগদানকারী শুভেন্দু। ইস্তফা প্রসঙ্গে স্পিকারের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই তিনি জানিয়ে দেন, সোমবার থেকে শুভেন্দুর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হল। তাঁর জায়গাটি বর্তমানে ফাঁকা রয়েছে বলে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হবে বলেও বলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।