সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে বরাবরই অভিযোগ বিস্তর। আর জি কাণ্ডে সেই অভিযোগে কার্যত ঘৃতাহুতি হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিভিকদের নিয়োগ কেন? এই প্রশ্ন উঠেছে। সুপ্রিম নির্দেশ মেনে হাসপাতাল থেকে সিভিকদের সরিয়েও দিয়েছে রাজ্য। কিন্তু তাতেও ক্ষোভ প্রশমন হচ্ছে না। কারণ একটাই, সঞ্জয় রায়। আর জি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় সমস্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। অনেকেরই দাবি, রাজ্যে সিভিক নিয়োগের কোনও সঠিক পদ্ধতি নেই। শাসকদল ঘনিষ্ঠ হলেই মেলে সুযোগ। তাই শাসকদলকে ব্যবহার করেই বিভিন্ন জায়গায় ক্ষমতা প্রদর্শন করান তাঁরা। কিন্তু জানেন কি সিভিকদের নিয়োগ হয় কীভাবে? যোগ্যতাই বা কি? বেতন পান কত?
২০১১ সালে প্রথম সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। সেই সময় মাধ্যমিক উত্তীর্ণরাই আবেদনের অনুমতি পেতেন। মৌখিক ইন্টারভিউর মাধ্যমেই হয় নিয়োগ। তবে যারা এনসিসি, বা খেলাধুলোর সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাঁরা খানিকটা অগ্রাধিকার পান। তবে পরবর্তীতে বদলেছে নিয়ম। মাধ্যমিক নয়, বর্তমানে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ হলেই আবেদন করা যায় সিভিক ভলান্টিয়ার পদে চাকরির জন্য। কলকাতা পুলিশের অধীনে থাকা সিভিল ভলান্টিয়ারদের মাসিক বেতন ১০ হাজার টাকা। তবে রাজ্য পুলিশের সিভিকদের বেতন ১০ হাজারের কম।
তবে ওয়াকিবহল মহলের দাবি, সিভিক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও নিয়মই মানা হয় না। মূলত শাসকদলের ঘনিষ্ঠ হলেই মেলে সিভিকের চাকরি। নিয়োগের পরই ক্ষমতা প্রদর্শন শুরু করেন তাঁরা। কার্যত ঠিক সেটাই ঘটেছিল সঞ্জয় রায়ের ক্ষেত্রেও। সিভিক হয়েও কলকাতা পুলিশের বাইক নিয়ে ঘুরতেন। নিজের ইচ্ছে মতো যাতায়াত করতেন হাসপাতালে। সেই কারণেই সিভিকের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে আমজনতা।