সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত শতকের চারের দশক। দাঙ্গাবিধ্বস্ত নোয়াখালিতে গান্ধীজি। তাঁর সেই সফর ঐতিহাসিক। মানুষের জন্য, মানুষের পাশে দাঁড়াতে জীবনপণ করার যে সংগ্রাম সেদিন 'জাতির জনক' করেছিলেন তা কাছ থেকে দেখেছিলেন এক বছর পঁচিশের যুবাপুরুষ। আহমেদাবাদ থেকে নোয়াখালি পর্যন্ত সেই যাত্রার সঙ্গী হওয়ার অভিজ্ঞতায় তাঁর হৃদয়ে জেগে উঠেছিল সেবাব্রতের অমল জ্যোতি। কলকাতায় গিয়ে ভারত সেবাশ্রম সংঘে যোগ দেন তিনি। সদ্য শতবর্ষ পেরোলেন সেই 'যুবক'। আজও একই ভাবে অধ্যাত্মবাদের দ্যুতি ছড়িয়ে চলেছেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের কার্যকরী সভাপতি স্বামী পূর্ণাত্মানন্দজি মহারাজ।
গত ১৩ এপ্রিল ছিল তাঁর শততম জন্মবার্ষিকী। ভারত সেবাশ্রম সংঘের (Bharat Sevashram Sangha) গড়িয়া শাখায় সেই উপলক্ষে আয়োজিত হয় এক অনুষ্ঠান। যে অনুষ্ঠানে উজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল ওই শাখার সভাপতি গিরিশানন্দজি মহারাজ, মেডিক্যাল কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও মেডিসিন বিভাগের প্রাক্তন প্রধান ড. সুকুমার মুখোপাধ্যায়ের। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের বহু শিষ্য, ভক্ত, সমর্থক এবং বিশ্বাসীরা। এবং অবশ্যই অনুষ্ঠানের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিলেন স্বয়ং পূর্ণাত্মানন্দজি মহারাজ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেন, ''অপার আশীর্বাদ এবং ঐশ্বরিক সঙ্গলাভের এক যাত্রা। আমার শততম বছরে পা রাখার মুহূর্তে আমি অভিভূত রয়েছি শ্রীমৎ স্বামী প্রণবানন্দজি মহারাজের শিক্ষা বিশ্বব্যাপী পরিবেশন ও ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ পাওয়ার কৃতজ্ঞতায়।''
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপির পরিকল্পিত চক্রান্ত’, সন্দেশখালির ‘স্টিং’ ভিডিও হাতিয়ার করে তোপ অভিষেকের]
বনগাঁর এক শস্যশ্যামল গ্রামে জন্ম পূর্ণাত্মানন্দের। আধ্যাত্মিক জীবনের সূচনা স্বামী সচ্চিদানন্দজি মহারাজের (যিনি বড় স্বামীজি নামেই পরিচিত) হাত ধরে। শুরু থেকেই যাঁর সান্নিধ্যে সেবার জন্য পূর্ণাত্মানন্দর হৃদয়ে আজীবন প্রতিশ্রুতির ভিত্তিমূল স্থাপিত হয়। এর পর কেটে গিয়েছে ৭৫ বছর। এই সাড়ে সাত দশকে সংঘ গুরু স্বামী প্রণবানন্দজি মহারাজের আশিস মাথায় নিয়ে নিরলস মানবসেবাতেই নিয়োজিত তাঁর জীবন। আজও দেশে বিদেশে, সংঘের প্রতিটি শাখার কর্মকাণ্ডের দিকে সুতীক্ষ্ণ দৃষ্টি রয়েছে পূর্ণাত্মানন্দের।