দুদিন নবান্ন থেকে ডাক পেয়েও আলোচনায় বসতে নারাজ আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। আলোচনায় বসতে হলে রাজ্যকে তাঁদের শর্ত মানতেই হবে। সাফ জানালেন আন্দোলনকারীরা। বুধবারও রাতভর স্বাস্থ্যভবনের সামনে ধরনার সিদ্ধান্ত।
রাত ১০টা: আন্দোলনকারীদের দাবি, সব মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধিদের নিয়ে ৩০ জনের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে বৈঠক করবেন তাঁরা। আলোচনা সদর্থক করতে 'অভিভাবক' হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী থাকুন। স্বাস্থ্য ভবন বা নবান্ন যে কোনও জায়গায় হোক বৈঠক। কিন্তু মিডিয়ার সামনে আলোচনা হতে হবে।
রাত ৯টা ৪৫: দাবি না মানলে আলোচনা নয়। ফের অবস্থান স্পষ্ট করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থান জারি রাখার সিদ্ধান্ত জুনিয়র ডাক্তারদের।
রাত ৯টা ৩৫: খোলামনে আলোচনা চাই বলেই লাইভ মিডিয়া প্লাটফর্মে সম্পূর্ণ বৈঠক করতে চেয়েছি। রাজ্যকে জবাব আন্দোলনকারীদের। আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা বলছেন, "আমরা দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে কাজে ফিরে যেতে চাই। এই অবস্থায় আমাদের কাছে দিনরাত-সব এক। যারা এর মধ্যে রাজনীতি দেখছেন, তাঁরাই আসলে রাজনীতি করছেন। মুখ্যমন্ত্রী সাড়ে সাতটা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন, আমাদের জানানোই হয়নি। " তাঁরা বলছেন, "আমরা রাজ্যের জবাবে যে মেইল করেছি, সেই মেইলের জবাব এখনও মেলেনি। আমরা এখানেই অপেক্ষা করছি।"
সন্ধে ৭.৩০: "প্রতিটি মানুষই রাজনৈতিক। কিন্তু এটা মনুষ্যত্বের লড়াই। এই আন্দোলনের নেপথ্যে কোনও রাজনীতি নেই।" জানালেন কিঞ্জল নন্দ। তাঁর দাবি, কোনটা খোলা মনে আলোচনা, কোনটা শর্তসাপেক্ষে, তা আপেক্ষিক। তবে এখনই অবস্থান উঠছে না, ইঙ্গিত দিলেন আন্দোলনকারীরা।
সন্ধে ৭.২০: আন্দোলনের নেপথ্য রাজনীতি। তাই খোলা মনে আলোচনা হচ্ছে না। শর্ত চাপিয়ে খোলা মনে আলোচনা হয় না। বলছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি আরও বলেন, "গরিব মানুষ যাতে ভোগান্তির শিকার না হন তাই বার বার আলোচনায় ডাকা হচ্ছে। কালও মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে অপেক্ষা করেছেন। আজও সাড়ে সাতটা পর্যন্ত নবান্নে ছিলেন।"
সন্ধে ৭.১৬: "কাজে ফিরুন, কর্তব্যরত চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের।" বার্তা রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের।
সন্ধে ৭.১২: প্রশাসনের ইমেলের সদার্থক প্রতিক্রিয়া মেলেনি। জানালেন মুখ্যসচিব। সুপ্রিম নির্দেশ এবং মানুষের প্রতি ডাক্তারদের কর্তব্যের কথা মনে করিয়ে দিলেন তিনি। বললেন, "আশা করব, সুপ্রিম নির্দেশকে ওঁরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে। কিন্তু কেন করেনি, সেটা জানি না।"
সন্ধে ৭.১০: জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার আবেদন জানানো হয়েছে। বলছেন মুখ্যসচিব।
সন্ধে ৭.০৯: নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। রয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার।
সন্ধে ৭.০৫: নবান্ন থেকে বেরিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিকেল ৫.৩০: মুখ্যসচিবকে পালটা ইমেল জুনিয়র চিকিৎসকদের। ৩০ জন প্রতিনিধিকে নবান্নে পাঠানোর বিষয় অনড় আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি আলোচনার লাইভ টেলিকাস্ট করতে হবে। এই মর্মে মুখ্যসচিবকে পালটা ইমেল করলেন তাঁরা। চার শর্ত দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
১. নবান্নের বৈঠকে থাকবে ৩০ জন প্রতিনিধি।
২ স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বৈঠকে লাইভ টেলিকাস্ট করতে হবে।
৩. আলোচনা হবে তিন স্বাস্থ্যকর্তার পদত্যাগ-সহ পাঁচ দফা দাবি নিয়ে।
৪. বৈঠকে থাকতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
বিকেল ৪.২৭: জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে সিনিয়ররাও। মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে বেরল মিছিল।
বিকেল ৩.৩০: ফের নবান্নে ডাকা হল জুনিয়র চিকিৎসকদের। সন্ধে ৬টার সময় ১২ থেকে ১৫ জনের প্রতিনিধি দলকে নবান্নে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ইমেল করেছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।
বিকেল ৩.২১: লালবাজারের সামনে ২২ ঘণ্টা অবস্থান করেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেই সময়ের রেকর্ড ভেঙে স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থান চলছেই। আন্দোলনের ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেল।
দুপুর ২.৪৬: ভোর ৩টে ৫০ মিনিটে মুখ্যমন্ত্রীকে ইমেল করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এখনও জবাব মেলেনি। প্রশাসনের এহেন আচরণে হতাশ জুনিয়র চিকিৎসকেরা। তবে নাগরিক সমাজকে ধন্যবাদ জানালেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের অভিযোগ, গতকাল সন্ধের ইমেলে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতির কথা বলাই ছিল না।
দুপুর ২.৪২: সাংবাদিকদের মুখোমুখি জুনিয়র ডাক্তাররা। মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো মেইল পড়ে শোনাচ্ছেন তাঁরা।
দুপুর ২.৩৩: অবস্থানের ২৩ ঘণ্টা পার। নিজেদের সিদ্ধান্তেই অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা। কিছু দিন আগে লালবাজারের সামনের ২২ ঘণ্টা অবস্থান করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা।
বেলা ১.৩৩: আলোচনা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ইমেল করেছে জুনিয়র চিকিৎসক সংগঠন। মুখ্যমন্ত্রী বা নবান্ন সময় দিলে প্রতিনিধি দল যাবে আলোচনা করতে।
বেলা ১২.২৯: জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান মঞ্চে অগ্নিমিত্রা পল। তাঁকে ঘিরে উঠল 'গো ব্যাক' স্লোগান। অগ্নিমিত্রা জানান, এখানে বিজেপির পার্টি অফিস সেখানেই তিনি এসেছেন। তবে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন রয়েছে তাঁর।
বেলা ১২.০৩: আগেই সিনিয়ররা পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। বুধবার সকালে স্বাস্থ্যভবন চত্ত্বরে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান মঞ্চে এলেন সিনিয়র ডাক্তাররা।
সকাল ১১.১০: আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে কিঞ্জল নন্দ জানালেন, ২৫ জনকে যাওয়ার অনুমতি দিতে হবে। তাহলেই নবান্নে বৈঠকে বসতে প্রস্তুত তাঁরা।
সকাল ১০.৩০: স্বাস্থ্যভবনের সামনে বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য।
সকাল ১০.০০: সকালে আন্দোলনরত ডাক্তারদের খাবার পাঠালো একাধিক সংস্থা। আমজনতার সমর্থন পেয়ে আপ্লুত জুনিয়র চিকিৎসকরা।
সকাল ৯.৩০: সিনিয়র চিকিৎসকদের পাশে পেয়ে তাঁদের ধন্যবাদ জানালেন কিঞ্জল নন্দ।
সকাল ৯.০৫: লালবাজার অভিযানের সময় ভোর হতেই কমিশনার বিনীত গোয়েলকে বিঁধে স্লোগান তুলেছিলেন আন্দোলনকারীরা। এদিনও তার ব্যতিক্রম হল না। ভোর হতেই স্লোগানে মুখরিত হল স্বাস্থ্যভবন চত্ত্বর। আন্দোলনকারীরা স্লোগান তুললেন, “ভোর হল, দোর খোল, দুয়ারে ডাক্তার এলো রে! ”
সকাল ৮.০২: রাতেই নবান্নের তলবে বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছিল জুনিয়র চিকিৎসকদের ১০ প্রতিনিধিকে। কিন্তু সেই তলবে অসন্তুষ্ট চিকিৎসকরা সাড়া দেননি। জানা গিয়েছে পালটা মেলে নিজেদের সমস্ত দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
সকাল ৭.৩০: চিকিৎসদের আন্দোলনে শামিল আমজনতাও। কেউ নিয়ে এসেছেন শুকনো খাবার, কেউ দিচ্ছেন জল। সকলের একটাই দাবি, অভয়াকে বিচার দিতেই হবে।
সকাল ৭.০১: লালবাজারের পর স্বাস্থ্যভবনের সামনের রাস্তায় রাত কাটালেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। ৫ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে, সাফ জানালেন চিকিৎসকরা।