সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোটার দাবি মেটার পরেও রক্ত ঝরছে পদ্মাপারে। হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে (Bangladesh) অসহযোগ আন্দোলন। দেশজুড়ে কার্ফু। শাসকদল এবং পুলিশের সঙ্গে সম্মুখ সমরে আন্দোলনকারীরা। সোমবার সকাল পর্যন্ত পাওয়া খবর, মৃতের সংখ্যা ৯০। রক্তাক্ত সোনার বাংলা নিয়ে এবার বিদ্রোহী পোস্ট স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের। মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে পদ্মাপারের যুবপ্রজন্মের পাশে থাকার কথা শোনালেন অভিনেত্রী।
পড়ুয়াদের শান্তির মিছিলের মুহূর্ত শেয়ার করে অভিনেত্রী লিখলেন, 'গুলি চালালে আর ভালো হবে না। সাত কোটি মানুষকে আর দাবায়ে রাখতে পারবা না, বাঙালি মরতে শিখেছে, তাদের কেউ দাবাতে পারবে না...- বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন একথা, ইতিহাস কী নির্মম, মুজিবুর রহমানের ভূত বোধহয় তাড়া করছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে, যেমন করে শেক্সপিয়ারের ডাইনিরা। ফিরে ফিরে এসে বলে যায় ললাট লিখন। কী দোষ ছিল আবু সইদের, কী করেছিল মুগ্ধ, সকলকে পানি বিতরণ করছিল, তাকে গুলি করলে। আজ গোটা বাংলাদেশের নুতন প্রজন্ম শালবৃক্ষের মতো সিনা টান করে, মানুষ হয়ে বাঁচতে, জান দিচ্ছে। দেওয়ালগুলো পড়ছি। ‘আজ যদি মেট্রো হইতাম, তাহলে একটা বিচার পাইতাম’ অথবা ‘আমার খায় আমার পরে, আমার বুকেই গুলি করে।’ যে প্রজন্ম কে শাপশাপান্ত করেছে সকলে, তারা স্বার্থপর, তারাই সবচেয়ে বেশি স্বার্থত্যাগ করে দেখাচ্ছে। বলছে- ‘লাশের হিসাব কে দিবে? কোন কোটায় দাফন হবে?’ নজরুল ফিরে আসছেন র্যাপ মিউজিক হয়ে, ফিরে আসছে কাব্য, শ্লোগান।
ইতিহাস স্মরণ করে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় লিখলেন, "৫২, ৭১, ৯০তে বাঙালিকে দাবিয়ে রাখা যায়নি। ২৪ সালেও যাবে না। ওদের ভাষাতেই বলতে ইচ্ছে করে- শোক নয় দ্রোহ। আমি পাশে আছি, যেভাবে তোমরা বলবে, আমি পাশে আছি ফিলিস্তিনের পরাধীন মানুষের, পাশে আছি ইউক্রেনের, পাশে আছি আমার সোনার বাংলার। শান্তি ফিরুক। এক সাথে সব বাঙালি যেন এ গান গাইতে পারি, এই রক্ত আর যে চোখে সয় না। হায় মাতৃভূমি...।"
[আরও পড়ুন: ‘সন্ত্রাস থামান, পিস্তলে কেন জনমতের প্রকাশ?’, রক্তাক্ত বাংলাদেশ নিয়ে কাতর পোস্ট ফারুকীর]
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা সরকারের অপসারণ চেয়ে ফের রাস্তায় নেমেছে পড়ুয়া এবং যুবসমাজের একাংশ। যার জেরে আবারও অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। রবিবার সন্ধে পর্যন্ত বাংলাদেশের মৃত্যু হয়েছে ৭০ জনের। এদের মধ্যে ১৪ জন পুলিশ। বিভিন্ন জেলায় শাসকদল আওয়ামি লিগ এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান আন্দোলনকারীরা। তাতেই বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে জারি হয়েছে কার্ফু। আবারও বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। এমতাবস্থায় রবিবার সন্ত্রাসবাদ বন্ধের আকুতি জানিয়েছিলেন মোস্তাফা সরওয়ার ফারুকী। এবার বাংলাদেশের যুবপ্রজন্মের পাশে থাকার বার্তা দিলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তবে অভিনেত্রীকে পালটা কটাক্ষ করে নেটপাড়ায় প্রশ্ন, "বাংলায় অনশনরত শিক্ষকদের পাশে আপনি নেই কেন?"