অভিষেক চৌধুরী, কালনা: হরেক রকমের সন্দেশ, বরফি, রসগোল্লার সম্ভার। রয়েছে নানা রকমের ফিউশন মিষ্টিও। কিন্তু সবাইকে পিছনে ফেলে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর মিষ্টি মেলায় ‘শো স্টপার’ নোড়া মিষ্টি। যার একটির দাম দেড় হাজার টাকা। দুহাতেও আঁটে না এই অতিকায় ল্যাংচার। এর যেমন রূপ, তেমনই স্বাদ।
পূর্বস্থলী ১ ব্লকের দোগাছিয়ার দোলতলায় প্রায় ৫০০ বছরের প্রাচীন দোল উৎসবে ভিড় করেন দূরদূরান্তের মানুষজন। সেখানে কৃষ্ণচন্দ্র, গুপীনাথ ও মদনমোহনের বিগ্রহ রয়েছে জমিদারি আমলের তৈরি মন্দিরে। সেখানে দোল উৎসব চলে চারদিন ধরে। এই উপলক্ষ্যে বসা মেলায় মেলে হরেকরকমের মিষ্টি। তাই এই মেলা আবার ‘মিষ্টি মেলা’ নামেও পরিচিত। তার মধ্যে নজরকাড়া মিষ্টি বলতে বোঝায় ‘নোড়া’ মিষ্টিকে। রূপে ও প্রমাণ সাইজ চেহারাতেই যে শুধু এই মিষ্টি নজর কাড়ে তা নয়, স্বাদেও মন কেড়ে নেয় সকলের। শুধু কিনতেই নয়,দু-চোখ ভরে দেখে চোখ ও মন জুড়ান অনেকেই। শুধু পূর্ব বর্ধমান জেলাই নয়, ভিন জেলার মানুষজনও হাজির হন এই মিষ্টিমেলার টানে। তবে এবার শুধু এক হাজার টাকার নয়, দেড় হাজার টাকারও নোড়া মিষ্টি মিলছে এই মেলায়। বিক্রেতা ভাস্কর ঘোষ জানান, “৪ কেজি ছানা দিয়ে তৈরি হয়েছে এই মিষ্টি। যার দাম রাখা হয়েছে দেড় হাজার টাকা।”
[আরও পড়ুন: ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যু! কাঠগড়ায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারের ছেলে]
অন্যদিকে বাসুদেব ঘোষ নামের আর এক বিক্রেতা বলেন, “আড়াই কেজি ছানা, ময়দা, অ্যারারুট, সুজি, চিনির রস দিয়ে তৈরি এই মিষ্টির ওজন প্রায় সাত-আট কেজি করে হয়। দাম এক হাজার টাকা। এবার এই মিষ্টি ৮ টি তৈরি করা হয়েছে।এই মিষ্টি তৈরিতে প্রায় তিন ঘন্টা সময় লাগে।” আগেভাগে এই মিষ্টি অর্ডার করে আবার কিনেও নিয়ে যান ভিন জেলার বাসিন্দারা। হুগলির চুঁচুড়া থেকে আসা তাপস মণ্ডল জানান, “মিষ্টিমেলা নামে পরিচিত এই মেলায় কয়েক বছর ধরে আসছি। নজরকাড়া বড়সড় এই মিষ্টি বাড়িতে কিনে নিয়ে যেতেও বেশ ভালো লাগে। এবারেও হাজার টাকা দামের একটি মিষ্টি কিনেছি। দুহাতে করে ওই মিষ্টি তোলাও বেশ কঠিন ব্যাপার।” কাটোয়ার বাসিন্দা প্রমীলা বিশ্বাস বলেন,“প্রতি বছরই মিষ্টি কিনতে আসি। শুধু কেনার জন্যই নয়,সারি-সারি দোকান নিয়ে বসা এখানকার মিষ্টি মেলা দেখতেও খুব ভালো লাগে।”