shono
Advertisement

Breaking News

চোখের নিমেষে হবে যন্ত্রণাহীন মৃত্যু! আত্মহত্যার যন্ত্রকে ‘বৈধ’ঘোষণা সুইৎজারল্যান্ডে

ইউথেনশিয়াকে আইনি স্বীকৃতি আগেই দিয়েছে সুইৎজারল্যান্ড।
Posted: 04:17 PM Dec 07, 2021Updated: 04:17 PM Dec 07, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যথাবেদনাহীন মৃত্যু। তাও এক মিনিটের মধ্যেই। আত্মহত্যার এমনই এক যন্ত্রকে আইনি স্বীকৃতি দিল সুইজারল্যান্ড (Switzerland)। যন্ত্রটির সাহায্যে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমিয়ে দেওয়া যাবে। ফলে প্রায় চোখের নিমেষেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বেন ব্যবহারকারী। ক্যাপসুল আকারের যন্ত্রটি দেখতে অনেকটা কফিনের মতো। এমনই এক যন্ত্রকে সুইজারল্যান্ড সরকার স্বীকৃতি দেওয়ার ঘটনায় আলোড়ন গোটা বিশ্বেই। ইউথেনশিয়া (Euthanasia) তথা ইচ্ছামৃত্যুকে আগেই স্বীকৃতি দিয়েছিল সুইশ সরকার। গত বছরই এভাবে মারা গিয়েছেন সেদেশের ১৩০০ জন। এই পরিস্থিতিতেই এবার স্বীকৃতি পেয়ে গেল এই যন্ত্রটি।

Advertisement

এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এগজিট ইন্টারন্যাশনাল এই যন্ত্রটি তৈরি করেছে। সংস্থার প্রধান ফিলিপ নিটশে এই যন্ত্রের উদ্ভাবনের নেপথ্যে রয়েছেন। তিনি ‘ডক্টর ডেথ’ নামেও পরিচিত। যন্ত্রটির বিশেষত্ব হল এটিকে যেমন বাইরে থেকে চালানো যায়, তেমনই ভিতরে থাকা ব্যক্তিও এটিকে পরিচালনা করতে পারবেন। কেবল মাত্র চোখের পাতা ফেলেই তিনি যন্ত্রকে সংকেত পাঠাতে পারবেন। আসলে মরণাপন্ন ব্যক্তিরা মৃত্যুমুখে পড়ে পেশিও নাড়াচাড়া করতে পারেন না। তাই এই যন্ত্রে কেবল মাত্র চোখের পাতার সাহায্যেই সংকেত পাঠিয়ে সম্মতি দিতে পারবেন।

[আরও পড়ুন: এবার শিল্পীদের জন্য নতুন প্রকল্প মুখ্যমন্ত্রীর, দেখালেন কর্মসংস্থানের নয়া দিশাও]

সারকো নামের এই যন্ত্রটি নিয়ে ফিলিপের বক্তব্য, ”আশা করছি আগামী বছরের মধ্যেই সারকো পুরোপুরি ব্যবহারের উপযোগী হয়ে যাবে। বহু অর্থ ব্যয় করা হয়েছে এই প্রকল্পে। তবে আমরা এটির প্রয়োগের খুবই কাছে পৌঁছে গিয়েছি।”

যদিও এই যন্ত্র নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্কও। অনেকেই দাবি করেছেন, এই যন্ত্রটি আসলে পক্ষান্তরে গ্য়াস চেম্বারই। এই ধরনের যন্ত্রের স্বীকৃতি আত্মহত্যাকেই গরিমান্বিত করবে বলে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মত।

[আরও পড়ুন: স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের কাজে গতি আনতে পদক্ষেপ, টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর]

ইউথেনশিয়া নিয়ে বিতর্ক রয়েছে পৃথিবী জুড়ে। ‘ইউথেনেশিয়া’ শব্দটি গ্রিক শব্দ ‘ইউ’ এবং ‘থানাতোস’ থেকে এসেছে। ‘ইউ’ শব্দটির অর্থ সহজ এবং ‘থানাতোস’ কথাটির মানে মৃত্যু । অর্থাৎ ‘ইউথেনেশিয়া’ শব্দটির মানে দাঁঢ়াচ্ছে ‘সহজ মৃত্যু’ । দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত কোনও ব্যক্তি অকথ্য যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে গেলে তাঁকে সেই যন্ত্রণা থেকে নিষ্কৃতি দিতে সহজে মৃত্যুর পথ করে দেওয়াই ইউথেনশিয়া। সাধারণত ওই ব্যক্তি কিংবা তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় পরিজনের অনুরোধেই এমনটা করা হয়। নেদারল্যান্ড, কানাডা, বেলজিয়ামের মতোই সুইজারল্য়ান্ডেও ইউথেনশিয়াকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement