সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্ষণের পর ভিডিও ফাঁস। এর পর তরুণীর অন্যত্র বিয়ে আটকাতে তলোয়ার হাতে তাঁকে অপহরণের চেষ্টা। চাঞ্চল্যকর এমনই ঘটনা ঘটল মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) অশোক নগর এলাকায়। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কালু ওরফে সেলিম খান। নির্যাতিতার পরিবার সেলিমের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে, পুলিশ এফআইআর দায়ের করতে চায়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২২ বছর বয়সি ওই তরুণীর বিয়ে ছিল বৃহস্পতিবার। সেই বিয়ে আটকাতে সন্ধ্যে ৬টা নাগাদ তলোয়ার হাতে তাঁর বাড়িতে হাজির হয় কালু। অভিযুক্তের সঙ্গে ছিল যোধা, সমীর ও শাহরুখ নামে আরও তিন জন। ঘরে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের রীতিমতো মারধর করে তারা। তরুণীর বাবার পা ও ভাইয়ের হাত ভেঙে দেওয়া হয়। নির্দয়ভাবে মারা হয় তাঁর মাকে। এর পর মেয়েটির হাত ধরে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। পরিবারের সদস্যদের চিৎকারে ছুটে আসে প্রতিবেশীরা। তাঁদেরও খুনের হুমকি দেয় কালু। এর পর ভিড় আরও বাড়লে মেয়েটিকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। যাওয়ার আগে পাত্রপক্ষকেও হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা।
[আরও পড়ুন: তীব্র গরমে জলসংকট, তেষ্টা মেটাতে বিজেপির কাছে হাত পাতলেন কেজরি, গেলেন সুপ্রিম কোর্টে]
এই ঘটনায় মেয়েটির পরিবার থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ তাঁদের অভিযোগ নিতে চায়নি। এর পর স্থানীয় এক হিন্দু সংগঠনের হস্তক্ষেপে পুলিশ অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। জানা গিয়েছে, এর আগে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে সেই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করেছিল অভিযুক্ত। এর পর অন্যত্র মেয়েটির বিয়ে ঠিক হওয়ায় বিয়ের দিনেই মেয়েটিকে অপহরণের চেষ্টা চালায় অভিযুক্ত।