সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের হয়ে সাদা জার্সিতে আর হয়তো দেখা যাবে না ঋদ্ধিমান সাহাকে (Wriddhiman Saha)। সংবাদ সংস্থার খবর ধরলে, ঋদ্ধিমান সাহার টেস্ট কেরিয়ারের সূর্যাস্ত হয়ে গিয়েছে। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের প্রভাবশালী অংশ ঋদ্ধিমানকে নাকি বলে দিয়েছে, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দেশের মাঠে টেস্টে আর টিমে নেওয়া হবে না ঋদ্ধিকে। টিম নতুন রক্ত চায়, নতুন ব্যাকআপ কিপার চায়। ঋদ্ধিকে আর চায় না! বাংলার উইকেট কিপারের এই খবরে আলোড়ন তৈরি হয় প্রবল।
এবার ঋদ্ধিমানের পাশে দাঁড়ালেন আরেক প্রাক্তন উইকেট কিপার। তিনি সৈয়দ কিরমানি (Syed Kirmani)। ১৯৮৩-র বিশ্বজয়ী দলের সদস্য কিরমানি বলেন, রাজনীতির শিকার ঋদ্ধি। উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে শরীর ছুঁড়ে বহু ক্যাচ ধরেছেন ঋদ্ধিমান। দলের প্রয়োজনে শারীরিক সমস্যাকে দূরে সরিয়ে রেখে ব্যাট হাতে ক্রিজে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন।
[আরও পড়ুন: মাঠের বাইরেও সমস্যায় এসসি ইস্টবেঙ্গল, প্রায় দেড় কোটির বোঝা চাপল লাল-হলুদের উপরে]
সুনীল গাভাসকর পর্যন্ত ঋদ্ধিকে একজন যোদ্ধা বলে উল্লেখ করেছিলেন। এবার কিরমানি বললেন, ”দেশের হয়ে দুর্দান্ত খেলেছ তুমি। কোনও সময়তেই কারও কাছে মাথা নত করোনি। এটাই প্রশংসার। তোমাকে দল থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে কারণ তুমি নির্দিষ্ট কোনও গ্রুপে ছিলে না। তুমি রাজনীতির শিকার। দুর্দান্ত একজন উইকেট কিপার হিসেবে তোমাকে আমি মনে রাখব।”
ভারতীয় ক্রিকেট এখন তরুণদের দিকে নজর দিচ্ছে। সেই কারণে ঋষভ পন্থকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কেএস ভরতের কথা ভাবছে টিম ম্যানেজমেন্ট এমন কথাও শোনা যাচ্ছে। কিরমানি বলছেন, ”কোনও সন্দেহই নেই ঋদ্ধি এখনও দেশের সেরা উইকেট কিপার। ঋষভ পন্থ সুযোগ পাচ্ছে তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের জন্য। ৩৭ বছর বয়সে ঋদ্ধিমান এখনও দেশের সেরা উইকেট কিপার। ওর দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই। দীনেশ কার্তিক ও পার্থিব প্যাটেলকেও একইভাবে সরানো হয়েছিল।”