অস্ট্রেলিয়া: ১২৫-১০ (ফিঞ্চ ৪৪, অ্যাগার ২০)
ইংল্যান্ড: ১২৬-২ (বাটলার ৭১*, রয় ২২ )
ইংল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইংল্যান্ডের কাছে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করল অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে অজিরা করেছিল মাত্র ১২৫ রান। আর সেই রান ১১.৪ ওভারেই তুলে নিল ইংল্যান্ড।শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়াকে মাটি ধরানোর ফলে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (ICC T20 World Cup) সেমিফাইনালে কার্যত পৌঁছে গেল ইংল্যান্ড।
এই ম্যাচের বল গড়ানোর আগে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া উভয়েই দুটো করে ম্যাচ জিতেছিল। ফলে শনিবারের ম্যাচ হাড্ডাহাড্ডি হতে চলেছে, এমনটাই ধরে নিয়েছিলেন ক্রিকেটবিশেষজ্ঞরা। মর্গ্যানের ইংল্যান্ড (England) এদিন দাঁড়াতেই দিল না অস্ট্রেলিয়াকে (Australia)। ১২৫ রানের পুঁজি নিয়ে ম্যাচ জিততে হলে শুরু থেকেই উইকেট তুলতে হত মিচেল স্টার্ক, হ্যাজলউডদের। কিন্তু বাটলার ও জ্যাসন রয় শুরু থেকেই টপ গিয়ারে ব্যাট করতে থাকেন।৬৬ রানে ইংল্যান্ড প্রথম উইকেট হারায়। জাম্পার বলে এলবিডব্লিউ হন রয় (২২)। ততক্ষণে ম্যাচ চলে গিয়েছে ইংল্যান্ডের ক্যাম্পে। মাত্র ৮ রানে ফেরেন মালান। বাকি কাজটা সারেন বাটলার ও বেয়ারস্টো। ৩২ বলে ৭১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন বাটলার।
[আরও পড়ুন: T20 World Cup: ফের ‘কিলার’ অবতারে মিলার, মাঠের বাইরের বিতর্ক সরিয়ে জয়ের সরণিতে দক্ষিণ আফ্রিকা]
এদিন টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান ইংল্যান্ড অধিনায়ক মর্গ্যান। টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার বিপজ্জনক জুটি। চলতে শুরু করলে তাঁদের থামানো কঠিন। কিন্তু ইংল্যান্ডের বোলাররা অজি ওপেনার জুটিকে কোনও সুযোগই দেননি। শুরু থেকেই বলকে কথা বলাতে শুরু করেন ইংল্যান্ডের বোলাররা।
ডেভিড ওয়ার্নারকে (১) ফেরান ওকস। স্টিভ স্মিথ (১) ভুল শট নির্বাচন করে আউট হন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও (৬) ব্যর্থ হন। স্টোয়নিস খাতা না খুলেই ফিরে যান। অথচ আইপিএলে এই চার অজি ক্রিকেটার যে কোনও দলের রাতের ঘুম কেড়ে নিতে পারেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একসঙ্গে সবাই ব্যর্থ হন এদিন। ৬ ওভারের মধ্যে অজিদের ব্যাটিং মেরুদণ্ড প্রায় ভেঙে দেন ইংল্যান্ডের বোলাররা। স্কোর বোর্ডে তখন অস্ট্রেলিয়ার রান ৪ উইকেটে ২১। ম্যাথু ওয়েড ও ফিঞ্চ ৩০ রান যোগ করেন। দু’ জনে যখন ইনিংস গড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন, ঠিক তখনই ম্যাথু ওয়েড (১৮) ফেরেন। অ্যাস্টন অ্যাগার ও ফিঞ্চ ৪৭ রানের পার্টনারিশপ গড়েন। ব্যক্তিগত ২০ রানে ফেরেন অ্যাগার। নিয়মিত ব্যবধানে যখন একপ্রান্ত থেকে উইকেট পড়ছে, তখন অন্য প্রান্তে টিকে ছিলেন ফিঞ্চ। ৪৪ রানে তাঁর ক্যাচ ধরেন বেয়ারস্টো। শেষ পর্যন্ত অজিরা ১২৫ রান করে। আরও কম রানেই শেষ হয়ে যেতে পারত অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ড বোলারদের মধ্যে ক্রিস জর্ডন (৩টি), ক্রিস ওকস (২). মিলস (২) সফল।