সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ললিতা ডি সেলভা। আম্বানিদের বিয়ের পর থেকেই সোশাল মিডিয়ায় বিষয়টা খানিক এরকম- 'নাম তো শুনা হি হোগা...!' আম্বানিপুত্র অনন্তকে বড় করেছেন ললিতা। সইফ-করিনার দুই সন্তান তৈমুর এবং জেহ, এই খুদে বয়সেও যারা সবসময়ে স্পটলাইটে, তাদের দেখভালের দায়িত্বও ললিতা ডি সেলভার উপরই। তারকাসন্তানদের ন্যানি হওয়া চারটিখানি কথা নয়! ঝক্কিও কম পোহাতে হয় না। একসময়ে তাঁর বেতন নিয়ে মারাত্মক চর্চা শুরু হয়। শোনা গিয়েছিল তৈমুর আলি খানের দেখাশোনা করার জন্য নাকি ললিতা ডি সেলভা মাসে আড়াই লক্ষ টাকা বেতন হাঁকান। যা শুনে চক্ষু চড়কগাছ হয়েছিল অনেকেরই।
মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মীর মাসমাইনের সমান ললিতার পারিশ্রমিক শুনে অনেকেই কানাঘুষো করার পাশাপাশি হতবাকও হয়েছিলেন। সম্প্রতি অনন্ত-রাধিকার বিয়েতে যাওয়ার পর থেকে আবারও চর্চার শিরোনামে তিনি। সত্যিই কি মাস গেলে আড়াই লক্ষ টাকা আসে তাঁর হাতে? এপ্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ললিতা রসিকতা করে জানিয়েছেন, "কত টাকা, আড়াই লক্ষ? ইশ সত্যিই যদি পেতাম এত টাকা। এগুলো সব গুজব ছাড়া আর কিছুই নয়!" তৈমুর-জেহর ন্যানি বলছেন, একবার করিনা কাপুরকে তিনি পারিশ্রমিকের গুঞ্জনের কথাটা জানিয়েছিলেন, সেটা শুনে অভিনেত্রী তাঁকে এসবে কান না দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন- "দিদি এগুলোকে যত কম পাত্তা দেবেন, তত ভালো থাকবেন।"
[আরও পড়ুন: টলিউড সেলেবদের সংসার যেন তাসের ঘর! পরিস্থিতি দেখে ভয় গৌরব-দেবলীনার?]
সইফ-করিনা যে মানুষ হিসেবে খুবই সাদামাটা, সেকথাও ললিতা ডি সেলভা জানান। তাঁর কথায়, "ওঁরা খুবই সরল জীবনযাপন করেন। নবাব বাড়িতে সকালের রুটিনই হচ্ছে সইফ-করিনা সমস্ত কর্মী, পরিচারকদের নিয়ে প্রাতঃরাশ করেন। ওঁদের জন্য আলাদা কোনও পদও রান্না হয় না। ওঁরা যা খান, সবার পাতেই সেই পদ থাকে। কতবার আমরা একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেছি।" মা হিসেবে করিনা কেমন? এই প্রশ্নের উত্তরে ললিতা জানান, "অসাধারণ। খুব শৃঙ্খলাপরায়ণ মা উনি। ওঁর বাচ্চারাও ঠিক সেরকমই তৈরি হয়েছে। শুটিংয়ে ৩০ মিনিটের বিরতি থাকলেও সন্তানদের ডেকে পাঠান করিনা। তখন একসঙ্গে আমরা সকলে লাঞ্চ করি। সময়জ্ঞান নিয়েও খুব কড়া। নিজের এবং সন্তানদের রোজকার রুটিন উনি নিজেই তৈরি করেন।"