সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাজমহলের রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টি প্রায় তামাশায় পরিণত করে ফেলেছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। যদি ইউনেস্কো এই সৌধ থেকে হেরিটেজ স্ট্যাটাস তুলে নেয়, তা কি দেশের জন্য খুব ভাল হবে? এই প্রশ্ন তুলেই যোগী প্রাশসনকে রীতিমতো ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট।
[ ডোকলামে ফের তৎপর হচ্ছে চিন, মার্কিন রিপোর্টেও উদাসীন নয়াদিল্লি ]
তাজমহলের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই জলঘোলা হচ্ছে। রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে তাজমহলকে সমানে রেখে মন্তব্য ও প্রতি-মন্তব্যের খেলা তো চলেই। কখনও বলা হয় এটা শিব মন্দির, কখনও অন্য কিছু। তবে এ সবের মধ্যেও নিয়মিত পর্যটক টেনে চলেছে ঐতিহাসিক সৌধটি। বিদেশি মুদ্রা উপার্জনের পথ খুলে দিচ্ছে দেশের সামনে। তা সত্ত্বেও অবহেলা কিন্তু চলছেই। কিছুদিন আগে জানা যায়, তাজমহলের পাথরের রং বদলে যাচ্ছে। শ্যাওলা কিংবা ছত্রাক দেখা যাচ্ছে সৌধের বিভিন্ন অংশে। এ নিয়েই একটি মামলার শুনানি চলছে আদালতে। যে ব্যাপারে এর আগেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। জানিয়েছিল, তাজমহল আইফেল টাওয়ারের থেকেও সুন্দর। দেশে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে যে সমস্যা আছে তা মিটিয়ে দিতে পারে তাজমহল। তাহলে কেন তা রক্ষণাবেক্ষণে জোর দেওয়া হচ্ছে না? যদি দেখভাল না করা যায় তাহলে সৌধটি বন্ধ করে দেওয়া হোক বলেই মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতিরা। প্রায় একই সুর ফের শোনা গেল শীর্ষ আদালতের কথায়। যোগী সরকারকে ভর্ৎসনা করে আদালত জানায়, রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়টিই তামাশায় পরিণত হয়েছে।
[ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলে বুদ্ধিজীবীদের গুলি করার নির্দেশ দিতাম, বিস্ফোরক বিজেপি নেতা ]
ক্ষুব্ধ আদালত জানায় ‘তাজ ট্রাপেজিয়াম জোন’-এর মধ্যে এখনও অন্তত হাজারেরও বেশি ইন্ডাস্ট্রি আছে, যারা নিয়মিত দূষণ ছড়াচ্ছে। অথচ কেউ কিছু করছেও না, নজরও দিচ্ছে না। সরকার, পর্যটন মন্ত্রী, এএসআই-সবই আছে। তবু কারও লক্ষ্য নেই। কে কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে আর এক জন তা জানে না। এ যেন ডান হাতের খবর বাঁ হাত রাখে না। এর থেকে বরং তাজমহলকে নিয়ে কমেডি শো করা ভাল বলেই যোগী সরকারের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে আদালত। এরপরই আদালত প্রশ্ন তোলে, যদি এইসব দেখে একদিন ইউনেস্কো তাজমহল থেকে হেরিটেজ স্ট্যাটাস সরিয়ে নেয়, তবে কি তা দেশের জন্য খুব সম্মানজনক হবে? বলা বাহুল্য, এ প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি কোনওপক্ষই। তবে তাজমহলের রক্ষণাবেক্ষণে অবহেলা হওয়ায় দেশের শীর্ষ আদালত যে ঘোর অসন্তুষ্ট তা আরও একবার বুঝিয়ে দিয়েছেন বিচারপতিরা।