সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টে ধাক্কা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতি অমৃতা সিনহার রায় নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে জোর আলোচনা। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ভাবনায় খোদ অভিষেক। কিন্তু কীভাবে এই মামলায় নাম জুড়ল অভিষেকের? একনজরে দেখে নেওয়া যাক ঘটনাক্রম।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়োজনে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ নির্দেশে কথাও বলেন। তারই মাঝে গত মার্চ মাসে শহিদ মিনারে সভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সভামঞ্চ থেকে তিনি দাবি করেন, মদন মিত্র, কুণাল ঘোষেদের দিয়ে একসময় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জোর করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর চেষ্টা করেন। তার ঠিক দিনদুয়েক পর আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের গলায় শোনা যায় একই সুর। তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাঁকে অভিষেকের নাম বলার জন্য চাপ দিচ্ছে। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। আইনি পদক্ষেপ নেন। গত ১ এপ্রিল হেস্টিংস থানা এবং আলিপুর আদালতে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে লিখিত আকারে জানান কুন্তল।
[আরও পড়ুন: ওহ লাভলি! টলিউডে পা রেখেই সুপারস্টার, সুইমিংপুলে ‘মদনদা’র ‘নায়িকা-বিলাস’]
তারই জল গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টেও। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কুন্তল ঘোষ এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরার কথা বলেছিলেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। এই মামলায় এজলাস বদল হয়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে মামলা যায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। বেঞ্চ বদল হয়েও বিশেষ লাভ হয়নি। গত ৮ মে এই মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পার্টি করার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। তদন্তে সহযোগিতা করতে কী অসুবিধা অভিষেকের, প্রশ্নও করেন বিচারপতি।
এরপর বৃহস্পতিবার মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি সিনহা। বিচারপতির নির্দেশ, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই-ইডি। আগামী ৯ জুনের মধ্যে তদন্তকারী সংস্থাকে রিপোর্ট জমা করতে হবে। পাশাপাশি আদালতের সময় নষ্ট করার জন্য কুন্তল ঘোষ ও অভিষেককে মোট ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা করে আদালত। বিচারপতি সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের ভাবনায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।