সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিওয়ালির আগেই পেট্রল-ডিজেলের দাম কমিয়ে দেশবাসীকে বড়সড় স্বস্তি দিয়েছে কেন্দ্র। এবার সেই পথে হাঁটল বিজেপি তথা এনডিএ (NDA) শাসিত ৯টি রাজ্য। এই ৯টি রাজ্যেই পেট্রল এবং ডিজেলে VAT কমে গেল বিরাট অঙ্কে। এর মধ্যে রয়েছে ভোটমুখী ৪ রাজ্যও। যার ফলে প্রবল চাপে পড়ে যাবে বিরোধীরা।
গত কয়েক সপ্তাহ পেট্রল (Petrol Prices) এবং ডিজেলের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির ফলে নাভিশ্বাস উঠছিল আম আদমির। দেশের অধিকাংশ রাজ্যে পেট্রল ১১০টাকা এবং ডিজেল ১০০ টাকার গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছিল। যার ফলে চাপ বাড়ছিল কেন্দ্রের উপরও। সম্প্রতি ১৩ রাজ্যের উপনির্বাচনেও এর প্রভাব পড়েছে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে দিওয়ালির (Diwali) ঠিক আগে আগে জ্বালানি তেলের শুল্কে বড়সড় ছাড় ঘোষণা করে মোদি (Narendra Modi) সরকার। একধাক্কায় ডিজেলের দাম (Diesel Prices) লিটারপ্রতি ১০ টাকা এবং পেট্রলের দাম লিটারপ্রতি পাঁচ টাকা করে কমিয়ে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: দীপাবলির উপহার, পেট্রল-ডিজেলের দাম কমাল কেন্দ্র]
কিন্তু, পেট্রল-ডিজেলের দাম এতটা বেড়ে গিয়েছে যে এই সামান্য ছাড়ে সাধারণ মানুষ তেমন স্বস্তি পাবে না। সম্ভবত সেটা বুঝতে পেরেই ৯টি বিজেপি (BJP) তথা এনডিএ শাসিত রাজ্য পেট্রল এবং ডিজেলের শুল্কে কেন্দ্রের মতোই বড়সড় ছাড় ঘোষণা করেছে। কেন্দ্রের পথ ধরে পেট্রল এবং ডিজেলে লিটারপ্রতি ৭ টাকা করে ছাড় ঘোষণা করেছে অসম সরকার। ফলে রাতারাতি সেরাজ্যে পেট্রল ১২ টাকা এবং ডিজেল ১৭ টাকা সস্তা হয়েছে। বিহার সরকার পেট্রল এবং ডিজেলে লিটারপ্রতি ছাড় ঘোষণা করেছে ১টাকা ৩০ পয়সা এবং ১ টাকা ৯০ পয়সা।
[আরও পড়ুন: স্থানীয়দের আপত্তি, গুরগাঁওয়ের ৮ জায়গায় প্রকাশ্যে নমাজ পড়া নিষিদ্ধ করল প্রশাসন]
অসমের মতোই কর্ণাটক এবং গুজরাট সরকার পেট্রল ও ডিজেলে লিটারপ্রতি ৭টাকা করে ছাড় ঘোষণা করেছে। ভোটমুখী গোয়াতেও রাজ্য সরকার পেট্রল ও ডিজেলে ৭ টাকা করে ছাড় ঘোষণা করেছে। একই পথে হেঁটেছে ভোটমুখী উত্তরাখণ্ড সরকার। সেখানেও ২টাকা করে কমানো হয়েছে পেট্রল ও ডিজেলের দামে। ভোটমুখী মণিপুরেও পেট্রল ও ডিজেলে ৭ টাকা করে শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বড় চমক দিয়ে ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশে পেট্রল ও ডিজেলে শুল্ক কমানো হয়েছে ১২ টাকা করে। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবও (Biplob Deb) পেট্রল ও ডিজেলে লিটারপ্রতি ৭ টাকা করে কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একযোগে সব ভোটমুখী রাজ্য এবং একাধিক এনডিএ শাসিত রাজ্যে পেট্রোপণ্যের দাম এভাবে কমানোই বিরোধীরা যে বড়সড় চাপে পড়ে যাবে, তা বলাই বাহুল্য।