গৌতম ব্রহ্ম: আর মাত্র কয়েকটা দিন। ২ বছর পর খুলতে চলেছে টালা ব্রিজ। পুজোর আগেই উত্তর কলকাতা ও উত্তর শহরতলির ‘লাইফ লাইন’ টালা ব্রিজ খুলে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করলেন পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়।
গতকাল অর্থাৎ বুধবার পূর্তমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন পুলক রায়। ২৪ ঘণ্টা পেরতে না পেরতেই রাজ্যবাসীর জন্য সুখবর শোনালেন তিনি। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুজোর আগেই টালা ব্রিজ খুলে দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ হবে। সবরকম চেষ্টা হচ্ছে যাতে দ্রুত ব্রিজ জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া যায়।” পুজোর আগেই আলিপুরে প্রস্তাবিত ধনধান্যে অডিটোরিয়ামের কাজও শেষ করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: ‘জেলা ভাগ লেডি বিন তুঘলকের খামখেয়ালি সিদ্ধান্ত’, মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ সুকান্তর, পালটা তৃণমূলের]
উত্তর শহরতলির সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগের অন্যতম ভরকেন্দ্র ছিল টালা ব্রিজ। কিন্তু মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর বিপদ এড়াতে পুরনো ব্রিজ ভেঙে নতুন করে তৈরির পরামর্শ দিয়েছিল রাইটস। এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেন মুম্বইয়ের সেতু বিশেষজ্ঞ ভি কে রায়না। এরপরই ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে টালা সেতুতে যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। শুরু হয় কাজ। ২ বছর ধরে ৪৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৫০ মিটার দীর্ঘ নবপর্যায়ের সেতুটিও মাঝেরহাট ধাঁচে কেবল স্টেড রেলওভার ব্রিজ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করছে। এর মধ্যে ২৪০ মিটার অংশ কেবলের উপরেই শূন্যে ঝুলবে। শুধু তাই নয়, আগে ছিল তিন লেনের সেতু, কিন্তু নয়া ব্রিজটি যেমন চার লেনের হচ্ছে তেমনই দু’পাশেই থাকছে ফুটপাথ।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৩ সালে নির্মিত পুরনো ভেঙে ফেলা টালা ব্রিজটি মাত্র ১৫০ টন ভারবহন করতে পারত। রাজ্য পূর্ত দপ্তরের দাবি, নয়া কেবল স্টেড সেতুটির ভারবহন সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে হচ্ছে ৩৮৫ টন। নয়া সেতু চালু হলেই উত্তর কলকাতার পাশাপাশি গতি বাড়বে উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে।