সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভেঙে পড়েছে প্রতিরোধের দেওয়াল। তালিবানের (Taliban) দখলে বিখ্যাত মুজাহিদ কমান্ডার আহমেদ শাহ মাসুদের গড় পঞ্জশির। 'সিংহের উপত্যকা' বিজয়ের পরই এবার সরকার গঠন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বলে ঘোষণা করল তালিবান। আর নতুন সরকার গঠনের অনুষ্ঠানে পাকিস্তান, চিন, রাশিয়া, কাতার, তুরস্ক ও ইরানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে তালিবানের প্রধান মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ। এখনও পর্যন্ত তালিবানের আমন্ত্রণ তালিকায় নাম নেই ভারতের।
[আরও পড়ুন: Taliban Terror: গোটা পঞ্জশির উপত্যকা দখলে এসে গিয়েছে, তালিবানের দাবি নস্যাৎ করল প্রতিরোধ বাহিনী]
সোমবার কাবুলে এক সংবাদ সম্মেলনে জাবিউল্লা মুজাহিদ বলে, "যুদ্ধ শেষ হয়েছে। আফগানিস্তানের শেষ প্রদেশ পঞ্জশির এখন আমাদের দখলে। আমরা আশা করছি এবার দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরবে। যারা অস্ত্র তুলে নেবে তারা জনতা ও দেশের শত্রু। মানুষের মনে রাখা উচিত যে হানাদাররা কখনও দেশ গড়ে তুলবে না। এটা আমাদের কাজ, এবং আমাদেরই করতে হবে।" বিমান পরিষেবা মিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুজাহিদ জানায়, "কাতার, তুরস্ক ও আরব আমিরশাহী থেকে আসা বিশেষজ্ঞদের দল কাজ করছে। দ্রুত কাবুল বিমানবন্দরে পরিষেবা শুরু হবে।"
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, কয়েকদিন আগেই দোহায় তালিবানের সঙ্গে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয় ভারতের রাষ্ট্রদূতের। তাছাড়া, কিছুদিন আগেই তালিবান সরকারের সম্ভাব্য বিদেশমন্ত্রী শের মহম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই জানিয়েছিল, ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রাখতে চায় তারা। আফগানিস্তানের মাটি জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করা যাবে না বলেও জানিয়েছিল সে। তারপরই 'পাকিস্তানের নির্দেশে' ভোলবদল করে তালিবান। জেহাদি সংগঠনটির মুখপাত্র সুহেল শাহিন কাতারের অফিসে এক ইন্টারভিউতে জানিয়েছে, কাশ্মীরের (Kashmir) মুসলিমদের সঙ্গে স্বপক্ষে কথা বলা তাদের অধিকারের পক্ষে। শুধু ভারত নয়, বিভিন্ন দেশের মুসলিমদের সঙ্গেও তারা এভাবে কথা বলতে পারে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬-এর তালিবান সরকারকে মান্যতা দেয়নি ভারত। এবার নয়াদিল্লির কাছে সেই অবস্থান বদলের আরজিও জানিয়েছে তালিবান। তবে এখনও 'ধীরে চলো' নীতি নিয়ে জল মাপছে কেন্দ্র। এহেন পরিস্থিতিতে নতুন সরকার গঠনের অনুষ্ঠানে পাকিস্তান, চিন, রাশিয়া, কাতার, তুরস্ক ও ইরানকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও বাদ পড়েছে ভারতের নাম। আর তা নিয়ে রীতিমতো সিঁদুরে মেঘ দেখছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা।