সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানে রক্তাক্ত শৈশব! এবার জোর করে শিশুদের সেনাদলে ভরতি করার চেষ্টা চালাচ্ছে তালিবান (Taliban)। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে শিশু ও কিশোরদের ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে জেহাদি সংগঠনটি। এই ভয়াবহ বিষয়টি তুলে ধরেছে আফগান নাগরিকদের একটা বড় অংশ।
[আরও পড়ুন: নির্বাচন শেষ রাশিয়ায়, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করে ফের ক্রেমলিনের দখল নিল পুতিনপন্থী দল]
'শিশু সৈনিক' তৈরির বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের হাই কমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস মাইকেল ব্যাকলেট। আফগানিস্তানে তালিবানের শাসন কায়েম হওয়ার পর এই বিষয়ে মানবাধিকার পরিষদকে দ্রুত পদক্ষেপ করার আরজি জানিয়েছেন তিনি। বলে রাখা ভাল, বরাবর শিশু ও কিশোরদের লড়াইয়ে ব্যবহার করে আসছে তালিবান। ১৯৯৬ সালে আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসার পর রীতিমতো জোর করে ১৮ বছরের কম বয়সীদের ধরে নিয়ে যেত তালিবান। তারপর বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনে আত্মঘাতী বোমারু ও সৈনিক হিসেবে তৈরি করা হত তাদের। এবার ফের ক্ষমতায় এসে একই পথে হাঁটছে জেহাদি সংগঠনটি। মুখে শান্তি ও মানবাধিকার রক্ষার কথা বললেও আদতে তা যে ধাপ্পা সেটা স্পষ্ট।
গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখল করে তালিবান। পতন হয় আশরফ ঘানি সরকারের। ৩০ আগস্ট মার্কিন ফৌজ চলে যেতেই গোটা দেশে অরাজকতা আরও বেড়ে যায়। প্রতিবাদের শেষ গড় পঞ্জশিরও তালিবানের দখলে। এহেন পরিস্থিতিতে এবার আফগান শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ, জেহাদি ক্যাম্পে এবার আফগান শিশু ও কিশোরদের মগজ ধোলাই করে তাদের আত্মঘাতী জঙ্গি হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
উল্লেখ্য, শিশুদের পাশাপাশি আফগানিস্তানে (Afghanistan) বিপন্ন মহিলারাও। দেশ তালিবানের দখলে চলে যাওয়ার পর থেকে মহিলা ও মানবাধিকার রক্ষা কর্মীদের উপর হামলার ঘটনা বেড়েছে। ক্ষমতা দখলের পরই তালিবানের সুপ্রিমো হায়বাতোল্লা আখুন্দজাদা সাফ জানিয়েছিল যে, গণতন্ত্র নয়, আফগানিস্তানে জীবন চলবে শরিয়ত আইন মেনে। ফলে ‘ইসলামিক আমিরশাহী’ বা ‘ইসলামিক এমিরেটস অফ আফগানিস্তান’-এ সংখ্যালঘু ও মহিলাদের পরিণাম কী হতে চলেছে তা স্পষ্ট। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে মহিলা ও পুরুষদের বসার জায়গা আলাদা করেছে তালিবান। মহিলাদের খেলাধুলোয় অংশ নিতে বরং করা হয়েছে। সবমিলিয়ে আবারও দেশটিতে অন্ধকার যুগ ফিরে এসেছে।