সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই প্রকৃতির রুদ্ররোষে পড়েছিল কেরলের ওয়ানড়। ভয়ংকর ভূমিধসে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে প্রায় ৪টি গ্রাম। কাদার নিচে তলিয়ে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন চারশোর বেশি মানুষ। সেই দুঃসময়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন এ সাবিনা নামে তামিলনাড়ুর এক নার্স। সাধারণ মানুষ থেকে রোগীদের সাহায্যের জন্য হাত লাগিয়ছিলেন উদ্ধারকারীদের সঙ্গে। দুর্গম আবহাওয়াতে তিনিও নেমেছিলেন উদ্ধারে। সাবিনার সাহসিকতার জন্য তাঁকে কল্পনা চাওলা অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত করেছে তামিলনাড়ু।
গত ৩০ জুলাই মধ্যরাতে ভয়াবহ ধস নামে ওয়ানাড়ের পাহাড়ি এলাকায়। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় চুরামালা ও মুন্ডাক্কাই গ্রাম-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। খবর পেয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি উদ্ধারকাজে নামে দেশের তিন সেনা। কার্যত রাতারাতি দুই গ্রামের মধ্যে বেইলি ব্রিজ তৈরি করে উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়। সেই সময় খবর পেয়ে অসহায় মানুষদের সাহায্য করতে ছুটে আসেন তামিলনাড়ুর নীলগিরি জেলার নার্স সাবিনা। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে তিনিও নামেন উদ্ধারকাজে। চিকিৎসা করে প্রাণ বাঁচান অন্তত ৩৫ জনের।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দু-সংখ্যালঘুরা কতটা নিরাপদে? মোদিকে ফোনে আশ্বাস ইউনুসের]
গতকাল বৃহস্পতিবার, স্বাধীনতা দিবসের দিন বিশেষ অনুষ্ঠানে সাহসিকতার জন্য সাবিনাকে সম্মানিত করা হয়। তাঁর হাতে কল্পনা চাওলা অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। ওই কঠিন সময় মানুষের প্রাণ বাঁচাতে পেরে খুশি সাবিনাও। তাঁর কথায়, "গত তিন বছর ধরে আমি একটা এনজিওর সঙ্গে কাজ করছি। সেখানেই আমি খবর পাই ভূমিধসের। যেহেতু আমরা কাছেই ছিলাম তাই কোনও কিছু না ভেবে মানুষের সহায়তার জন্য ছুটে যাই। আমি শুধুমাত্র ওই মানুষ ও রোগীদের জন্য চিন্তিত ছিলাম।" উল্লেখ্য, ওয়ানড়ের এই ভূমিধসে শোকে বিহ্বল হয়েছিল বিশ্ব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে শোকবার্তা পাঠিয়ে ছিল আমেরিকা, রাশিয়া, মালদ্বীপের মতো দেশ।