সৈকত মাইতি, তমলুক: প্রিজন ভ্যানের জানলার শিক বেঁকিয়ে পালিয়েও হল না শেষরক্ষা। ঘটনার চারদিনের মাথায় পলাতক দ্বিতীয় অভিযুক্তকেও গ্রেপ্তার করল পুলিশ। হলদিয়া টাউনশিপ (Haldia Township) থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। তার আগে ঘটনার ঠিক পরেরদিনই একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মাদক পাচারে অভিযুক্ত তারা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগেই মাদক পাচারের অভিযোগে দুই অভিযুক্তকে (Prisoners) গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। গত ৩ আগস্ট অন্যান্য আসামীদের সঙ্গে তাদের প্রিজন ভ্যানে চাপিয়ে আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। জেলখানা মোড় চত্বরে যানজটে আটকে যায় প্রিজন ভ্যানটি। সেই সুযোগ কাজে লাগায় অভিযুক্তরা। সেই সময় প্রিজন ভ্যানের ডানদিকের জানালার রড বাঁকিয়ে এক অভিযুক্ত আচমকা রাস্তার উপর ঝাঁপ দেয়। দৌড়তে শুরু করে শহরের অলিগলি ধরে। পুলিশকর্মীরা পিছু ধাওয়া করতে গেলে আরেক আসামী পালিয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: Tokyo Olympics: ‘মোটা বাচ্চা’ থেকে সোনার ছেলে, সহজ ছিল না নীরজের লড়াই]
প্রায় সঙ্গে সঙ্গে তমলুকের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অতীশ বিশ্বাসের নেতৃত্বে পুলিশবাহিনী তল্লাশি অভিযান শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা তাদের জানায়, ভ্যান থেকে লাফ মেরে নেমে প্রাণপণে দৌড়তে শুরু করে। জেলখানা মোড় থেকে মালি জঙ্গলপাড়া হয়ে আনন্দমোহন গেস্ট হাউস, ধোপাপাড়া, মীর বসতি হয়ে একেবারে জনসমুদ্রে মিলিয়ে যায়। দুই আসামীকে ধরতে জেলার সীমানা জুড়ে তল্লাশি শুরু করে জেলা পুলিশ। খবর দেওয়া হয় বিভিন্ন থানায়। এই ঘটনার পরেরদিনই পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার রাতে হলদিয়া টাউনশিপ থেকে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রিজন ভ্যানের জানলার শিক বেঁকিয়ে বন্দি উধাওয়ের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। তবে শেষমেশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করল পুলিশ।