সৈকত মাইতি, তমলুক: সুন্দরী তরুণীর ছবি ডাউনলোড করে সোশাল মিডিয়ায় ভুয়ো অ্যাকাউন্ট! আর সেই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেই প্রেমের ফাঁদে ফেলে লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল তমলুকেরই এক স্কুলছাত্রীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ছাত্রীর কর্মকাণ্ডে তাজ্জব তদন্তকারী দুঁদে পুলিশ অফিসাররাও।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুকের পায়রাচালি এলাকার বাসিন্দা যুবক জয়সূর্য পতি। ইংলিশ অনার্স নিয়ে তমলুক কলেজ থেকে স্নাতক। অনলাইনে কাজকর্ম করে সেখান থেকে বেশ কিছু টাকা উপার্জনও হয়েছিল। এমন অবস্থায় প্রায় বছর দুয়েক আগে ফেসবুকে এক সুন্দরী তরুণীর সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। ওই 'তরুণী' নিজেকে ডানকুনির অভিজাত পরিবারের সদস্য বলে পরিচয় দেন। সময় যত গড়াতে থাকে ততই বাড়ে ঘনিষ্ঠতা। একে অপরের সঙ্গে মোবাইল নম্বর আদানপ্রদান হয়। দুজনে মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের সুযোগে বেশ কয়েক দফায় নগদ প্রায় ৩৫ হাজার টাকা ওই তরুণীকে দিয়ে বসেন যুবক।
[আরও পড়ুন: ‘এভাবে বেঁচে থাকার চেয়ে…’, ইঙ্গিতবাহী পোস্টের পরেই মৃত্যু বাংলাদেশি সাংবাদিকের]
যুবকের দাবি, তরুণীকে ভালোবেসে বিভিন্ন সময়ে দামী উপহারও দেন তিনি। সম্প্রতি প্রায় ৫৬ হাজার টাকা দামের একটি দামি আইফোন উপহার দেন। তবে তাতেও যেন মন ভরছিল না প্রেমিকার। অভিযোগ, দীর্ঘ সময় সশরীরে না দেখা প্রেমিকার আবদার মেটাতে গিয়ে রীতিমতো নাজেহাল হতে হচ্ছিল যুবককে। এমনকি বেশ কয়েকদিন ধরে কারণে-অকারণে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছিল বলেও অভিযোগ।
তাতেই সন্দেহ দানা বাঁধতে থাকে। ঝগড়াঝাটির মাঝে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে প্রেমের জালে ফাঁসানোর তথ্যও প্রকাশ্যে আসে। এর পর ওই যুবক পুলিশের দ্বারস্থ হন। তমলুকের ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে তমলুক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এর পর পুলিশ কুকীর্তির পর্দাফাঁস হয়। তমলুক থানার আইসি সুভাষচন্দ্র ঘোষ জানিয়েছেন, যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।